পার্বত্য এলাকায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলা সফরে গিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা। এসময় তারা পাহাড়ের সবাইকে সহাবস্থানের আহ্বান জানান।
শনিবার সকালে হেলিকপ্টারযোগে পার্বত্য এলাকা পরিদর্শনে যান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ। তারা উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে স্থানীয়দের সঙ্গে মত বিনিময় করেন।
এসময় খাগড়াছড়ি জেলা হেড কোয়ার্টারে তিন উপদেষ্টা স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, গণ্যমান্য ব্যক্তি, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনের সাথে কথা বলেন। তারা উপস্থিত সকলের কথা শোনেন।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে গণপিটুনিতে মারা যান এক ব্যক্তি। মূলত এরপর থেকেই পাহাড়ে সংঘাত চলছে। এ ঘটনায় উপদেষ্টারা সকলকে শান্তিতে সহাবস্থানের আহ্বান জানিয়েছেন। সংঘাতে যারা আপনজন হারিয়েছেন, তাদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন তারা। যেকোনো পরিস্থিতিতে সবাইকে শান্তিপূর্ণ অবস্থানের আহ্বান জানান উপদেষ্টারা।
উপদেষ্টাগণ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা এখানকার স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা। আপনারকেও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান রক্ষায় ভূমিকা রাখতে হবে। কারণ স্থানীয়ভাবে আপনাদের জনপ্রিয়তা আছে। প্রভাব আছে। মানুষ আপনাদের কথা শুনবে।
উপদেষ্টাগণ আরও বলেন, কোনো একটা পক্ষ চাচ্ছে পাহাড়ে অস্থির অবস্থা তৈরি করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বেকায়দায় ফেলবে। কিন্তু এমনটা হতে দেওয়া যাবে না। সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্দেশে তারা বলেন, আপনারা আপনাদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ দিয়ে কাজ করে যাবেন। যাতে কোনোভাবেই পাহাড়ের পরিস্থিতি খারাপ না হয়।
উপদেষ্টারা স্থানীয়দের আশ্বস্ত করেন, যে বা যারা এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী সবাইকে চিহ্নিত করা হবে। দোষীদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হবে।
তারা আরও বলেন, কেউ যদি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপদেষ্টাগণ উপস্থিত সবার উদ্দেশে বলেন, আপনারা সবসময় মাথায় রাখবেন আইন কখনোই নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবেনা। সংঘাতে আহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে বলা হয়, সবার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।