Homeআন্তর্জাতিকমোদি-বাইডেন বৈঠকে গুরুত্ব পেতে পারে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ

মোদি-বাইডেন বৈঠকে গুরুত্ব পেতে পারে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ

ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সার্বিক নিরাপত্তায় গঠিত চার দেশীয় জোট কোয়াডের চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। ডেলাওয়ারে জোটের চার সদস্য দেশ যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানেরা এতে যোগ দেবেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ও কোয়াডে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গেছে।
ইংরেজি কোয়াড্রিলেটারেল যার অর্থ চতুর্পক্ষীয়। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের উন্নয়ন, অর্থনীতি ও নিরাপত্তায় চার দেশ যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে গঠিত এই জোট বা স্ট্র্যাটেজিক গ্রুপ ‘কোয়াড’ নামেই পরিচিত। এই জোটের চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ডেলওয়ার অঙ্গরাজ্যে।

এ উপলক্ষে বৈঠকে বসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ।

কোয়াড সম্মেলন সফল করতে সব প্রস্তুতি শেষ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র কারিন জিন-পিয়েরে জানিয়েছেন, জো বাইডেন প্রথমবারের মতো তার নিজ এলাকা উইলমিংটনে বিদেশি নেতাদের আপ্যায়ন করবেন, যা নেতাদের ব্যক্তিগত সম্পর্কোন্নয়ন ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সব দেশের জন্য কোয়াডের গুরুত্বের প্রতিফলন ঘটাবে।

অন্যদিকে, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রী বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কোয়াডে আলোচনা হতে পারে। শুধু তাই নয়, বাইডেনের সঙ্গে মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠকেও এ নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা আছে।

এ বিষয়ে জাতিসংঘের সাবেক কর্মকর্তা হাসান ফেরদৌস বলেন, কোয়াডের এবারের সামিটে ১০ দফার এজেন্ডায় বাংলাদেশ প্রসঙ্গ না থাকলেও সদস্য রাষ্ট্র ভারতের বাংলাদেশ প্রশ্নে নিজস্ব আগ্রহ থাকায় বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের মূল পর্বে যোগ না দিয়ে ‘সামিট অব দ্য ফিউচার’ শীর্ষক একটি সাইড লাইন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে একদিন আগেই ভারতে ফিরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অনেকে মনে করছেন, জাতিসংঘের চেয়ে এ মূহূর্তে কোয়াডকেই বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভাবছে ভারত। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, কোয়াড শীর্ষ সম্মেলনের দিকে তীক্ষ্ম নজর রাখা উচিত বাংলাদেশের।

হাসান ফেরদৌস আরও বলেন, এখানে আমরা আলোচিত হই বা না হই এটি আমাদের অঞ্চল নিয়ে বৈঠক হচ্ছে। যে কারণে অবশ্যই সম্মেলনে দিকে আমাদের তীক্ষ্ম নজর রাখতে হবে।

ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের আধিপত্য রুখতে ২০০৭ সালে চার দেশের সমন্বয়ে একটি সংলাপের মাধ্যমে শুরু হয় কোয়াড। পরে ২০১৭ সালে এটি একটি জোট হিসেবে গড়ে ওঠে। যদিও করোনা মহামারি, ইউক্রেন এবং গাজায় সংঘাতের পর কোয়াডের তৎপরতা অনেকটা থমকে যায়। আগামী বছর ২০২৫ সালে কোয়াডের পঞ্চম শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করবে ভারত।

সর্বশেষ খবর