ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে গণপিটুনির শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন তোফাজ্জল হোসেন নামের এক যুবক। ‘চোর সন্দেহে’ তাকে আটকে রেখে কয়েক দফায় গণপিটুনি দেওয়া হলেও এখন জানা যাচ্ছে, সে মূলত ছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন।
আজ বৃহস্পতিবার তোফাজ্জলের মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি জানিয়েছেন, মানসিক ভারসাম্যহীন হোক, চোর হোক অথবা দাগী আসামী-কাউকে এভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলার কারও নেই।
তিনি তার পোস্টে লেখেন, মানসিক ভারসাম্যহীন হোক, চোর হোক অথবা দাগী আসামী-কাউকে এভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলার অধিকার বা সাহস কোনো একজন ব্যক্তি কিভাবে পায়?
মব জাস্টিসের নামে নরপশুর ন্যায় নির্মমতা কখনোই সমর্থনযোগ্য নয় জানিয়ে তিনি আরও লেখেন, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির এক্সামপল সেট হওয়া প্রয়োজন। কে কোথায় পড়ে, কী করে সেটা মুখ্য নয়। অন্যায় সবসময় অন্যায়। একটা জলজ্যান্ত মানুষকে পিটিয়ে মেরে ফেলতে যাদের বুক একবারের জন্যও কাঁপে না, তাদের মধ্যে মনুষ্যত্ব থাকতে পারে না।
সারজিস আরও লেখেন, মানুষটার শরীরটা দেখে বুয়েটের অবরারের কথা বারবার মনে পড়েছে। সকল অন্যায়কারীর বিচার হোক। নির্দোষ কেউ শাস্তি না পাক। একবার যদি অন্যায়কারীরা কোনো সূত্র ধরে ছাড় পেয়ে যায়, তবে তা পরবর্তী অসংখ্য অন্যায়ের প্রশ্রয় হিসেবে দৃষ্টান্ত তৈরি করে। নতুন বাংলাদেশে সেই সুযোগ যেন কেউ না পায়।