একটা সময় কোহলি এবং গম্ভীর ছিলেন জাতীয় দলের সতীর্থ। এরপর আইপিএলে ভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির জার্সিতে হলেন প্রতিপক্ষ।
সেই সময় একাধিকবার বাদানুবাদে জড়াতে দেখা গেছে এই দুজনকে। পুরোনো সেই বিরোধ দূরে রেখে এবার দুজনকে এক টেবিলে বসিয়েছে বিসিসিআই।আজ বুধবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড নিজেদের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডলে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। যেখানে একই টেবিলে বসে কথা বলতে দেখা গেছে কোহলি ও গম্ভীরকে।
একটা সময় একইসঙ্গে জাতীয় দলের জার্সিতে খেলেছেন তারা দুজন। তবে বর্ত মানে গম্ভীর ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ, আর কোহলি তার শিষ্য। এরপর ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে ভিন্ন দলের হয়ে খেলতে নেমে একাধিকবার বাকবিতন্ডায় জড়িয়েছেন। তবে সেসব ঝামেলা এখন শেষ বলে ঘোষণা করেছেন বিরাট কোহলি।
বিসিসিআইয়ের ওই ভিডিওর শুরুতে ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে ব্যাট করতে দেখা যায় গম্ভীর ও কোহলিকে। এরপর ২০১৪-১৫ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বর্ডার-গাভাস্কার সিরিজে কোহলির ব্যাটিং নিয়ে প্রশংসা করেন ভারতের বর্তমান কোচ।
গম্ভীর বলেন, ‘আমার মনে পড়ে অস্ট্রেলিয়ায় সেই সিরিজের কথা, যেখানে তুমি অনেক রান করেছ। যা তোমাকে লাইমলাইটে নিয়ে এসেছে। একইভাবে আমিও খেলেছিলাম নেপিয়ারে। যদি পেছনে তাকাই, আমি কি আরও দুই কিংবা আড়াই দিন ব্যাট করতে পারতাম? অবশ্য আমি তা মনে করি না।
গম্ভীরকে খোঁচা দিয়ে কোহলি বলেন, ‘তুমি যখন ব্যাটিং করতে, তখন প্রায়ই প্রতিপক্ষ ক্রিকেটারদের সঙ্গে (উত্তপ্ত) কথা বলতে দেখা যেত। তুমি কি মনে করো যে এটি তোমাকে ভিন্ন জোনে নিয়ে যাবে কিংবা আউট হয়ে ক্রিজ ছাড়তে হবে? নাকি এই পরিস্থিতি থেকে তুমি প্রেরণা নিতে?’ তখন পাল্টা খোঁচা দেন গম্ভীর, আমার চেয়ে তুমিই বেশি বিবাদে জড়িয়েছ, আমি মনে করি এই প্রশ্নের উত্তর আমার চেয়ে তুমিই ভালো দিতে পারবে।
তবে কোহলি-গম্ভীরের পারস্পরিক ঝগড়া নিয়ে তেমন কোনও আলোচনা হয়নি। বরং গম্ভীর ও কোহলির প্রতিপক্ষ দলের সঙ্গে ঝগড়ার প্রসঙ্গ উঠে এসেছে এই আলোচনায়। ব্যক্তিগত বিরোধ ছাপিয়ে এখন ভিন্ন পরিচয়ে দুজনের সম্পর্ক যে এখন অনেকটাই ভালো, তা সহজেই অনুমেয়। কারণ ভারতীয় দলও চায় তাদের উষ্ণ সম্পর্ক।
আগামীকাল থেকে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজে মাঠে নামবে ভারত। সিরিজের প্রথম টেস্ট হবে চেন্নাইয়ে। এরপর ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে কানপুরে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। এরপর তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচও খেলবে দুদল।