ময়মনসিংহে যৌথ বাহিনীর গ্রেপ্তার অভিযানের সময় সাইদুল ইসলাম (৪০) নামে এক যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে। তিনি মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
নিহত সাইদুল ইসলাম নগরীর গোলপুকুর পাড় এলাকার বাসিন্দা আব্দুস ছালামের ছেলে। সে নগরীর আলোচিত শামসুল হুদা সুমন হত্যায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন।
মঙ্গলবার এশার নামাজের পর জানাজা শেষে তাঁকে দাফন করা হয়েছে।
স্বজন ও দলীয় সূত্র জানায়, গত সোমবার রাত ১০টার দিকে নগরের গোলপুকুর পাড় এলাকায় সাইদুল ইসলামের চেম্বারে অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করেন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। পরে রাত একটার দিকে তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের উপপরিচালক জাকিউল ইসলাম জানান, সাইদুল ইসলামকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এনেছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। হাসপাতালের আরেকটি সূত্র জানায়, শুধু সাইদুল ইসলাম নন, একই সঙ্গে আরও পাঁচজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে জমি ও বালুমহাল দখল, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি, অস্ত্র প্রদর্শনসহ নানা অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি যৌথ বাহিনীর কাছে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা হয়।
জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আজ সাইদুলের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে বেলা তিনটার পর পরিবারের কাছে সাইদুলের লাশ হস্তান্তর করা হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক হয়েছিলেন সাইদুল ইসলাম। পরে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয়। সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সুরতহালে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে কি না, তা তিনি বলতে চাননি। সুরতহাল প্রতিবেদন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট করেছেন।