টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে গত বছরের ১৮ জুন বিস্ফোরিত হয় ডুবোযান টাইটান। বিস্ফোরণের সময় ৫ জন আরোহী ছিলেন যানটিতে। টাইটানিকের কাছাকাছি চলেও গিয়েছিলেন। কিন্তু টাইটানিক দেখার সৌভাগ্য তাদের হয়নি।
টাইটানিকের মতো তারাও গভীর সমুদ্রে হারিয়ে যান।
ডুবোযানটি সমুদ্র গর্ভে বিলীন হওয়ার পর এই প্রথম ওশানগেট কোম্পানির টাইটান সাবমার্সিবলের পাঁচজন ক্রু-এর চূড়ান্ত বার্তাগুলোর মধ্যে একটি প্রকাশ পেয়েছে। ডুবোযানটি বিস্ফোরিত হওয়ার আগে সেই বার্তায় বলা হয়, ‘এখানে সব ভা্লো’।
ইউএস কোস্ট গার্ডের তদন্তকারীরা বলেছেন, এই বার্তাটিই টাইটান এবং এর মাদার জাহাজ ‘পোলার প্রিন্স’-এর মধ্যে শেষ যোগাযোগ। এরপরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
প্রথমবারের মতো একটি ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে বিস্ফোরণের পরে সমুদ্রের তলায় বসে আছে ডুবোযান টাইটানের লেজের অংশটি।
গভীর-সমুদ্রের ডুবোজাহাজটি টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে সমুদ্রে নামার দুই ঘন্টারও কম সময়ে বিস্ফোরিত হয়েছিল। বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, যাত্রা শুরুর এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর ডুবোযানটির সঙ্গে ওপরের সহযোগী জাহাজ ‘পোলার প্রিন্স’-এর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ডুবোযানের যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন- ৬১ বছর বয়সী স্টকটন রাশ, যিনি ওশানগেট কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ব্রিটিশ পাকিস্তানি ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ৪৮ বছর বয়সী শাহজাদা দাউদ, তার ১৯ বছরের ছেলে সুলেমান দাউদ এবং ব্রিটিশ ধনকুবের ব্যবসায়ী ৫৮ বছর বয়সী অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী হ্যামিশ হার্ডিং। ওই যানে পঞ্চম ব্যক্তি ছিলেন ৭৭ বছর বয়সী পল-অঁরি নারজিওলেট- ফরাসি সাবেক নৌবাহিনীর ডুবুরি এবং খ্যাতনামা অভিযাত্রী।
ঘটনার সত্যতা উন্মোচন করা এবং এমন ট্র্যাজেডি যাতে আর না ঘটে সেই লক্ষ্যে কোস্ট গার্ড কর্মকর্তারা তদন্ত শুরু করেছেন।