কক্সবাজারের টেকনাফে অভিযান চালিয়ে ১০ কেজি ৫ গ্রাম বিভিন্ন প্রকার স্বর্ণালংকার ও স্বর্ণের বার, বাংলাদেশি নগদ টাকা, মিয়ানমার মুদ্রা এবং ১০টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আটককৃতরা হলেন- মিয়ানমার মংডু থানার সোদাপাড়া গ্রামের মৃত ইউনুছের ছেলে মো. হাফিজুর রহমান (২৮) ও একই এলাকার মৃত সুলতানের ছেলে মো. আনোয়ার (৩০)।
টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গত সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন এর অধীনস্থ টেকনাফ বিওপির দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৬ হতে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে টেকনাফ পৌরসভাস্থ অলিয়াবাদ নামক এলাকায় মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে চোরাকারবারীরা স্বর্ণের বড় চালান এবং মাদকদ্রব্য একটি বাড়িতে লুকায়িত রেখেছে।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে কিছুক্ষণ পর টেকনাফ ব্যাটালিয়ন সদরের একটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল দ্রুত অলিয়াবাদ এলাকায় গমন করে পূর্বে প্রাপ্ত বর্ণনা অনুযায়ী সন্দেহভাজন বাড়িটিতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে ঘেরাও করে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে। কিন্তু বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে উক্ত বাড়িতে অবস্থানরত সন্দেহভাজন দুইজন ব্যক্তি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবি টহলদল উক্ত চোরাকারবারীদের স্বর্ণের দুটি ব্যাগসহ আটক করতে সক্ষম হয়।
আটককৃত ব্যাগের ভিতর থেকে ১১ কোটি ৫২ লাখ টাকা মূল্যমানের ১০ কেজি ৫ গ্রাম বিভিন্ন প্রকার স্বর্ণালংকার ও স্বর্ণের বার, বাংলাদেশি নগদ ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৪০ টাকা, মিয়ানমার মুদ্রা ২ লক্ষ ২৯ হাজার ৫০০ কিয়াত এবং ১০টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত স্বর্ণালংকার ও স্বর্ণের বার, বাংলাদেশি নগদ টাকা এবং মিয়ানমার মুদ্রা কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় (ট্রেজারী শাখায়) জমা করা হয়।
আটককৃত দুই জন আসামিকে মোবাইল ফোনসহ তাদের বিরুদ্ধে সরকারি কর/শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে স্বর্ণ চোরাচালানের দায়ে নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।