ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু উত্তর ইসরায়েলের বাসিন্দাদের নিজ নিজ ঘরে ফেরাতে ‘নতুন যুদ্ধের লক্ষ্য’ ঘোষণা করেছেন। মঙ্গলবার নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে বিবৃতি প্রকাশের মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা উত্তর ইসরায়েলের বাসিন্দাদের নিজ নিজ বাড়িতে নিরাপদে প্রত্যাবর্তন সুযোগ করে দিতে তাদের যুদ্ধের উদ্দেশ্য প্রসারিত করে।
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার রাতারাতি বৈঠকে ইসরায়েলের নতুন যুদ্ধের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।
এ যুদ্ধে আগের যুদ্ধগুলোর তিনটি শর্তও যুক্ত হয়েছে। যেমন- হামাসের সামরিক শক্তি ও শাসন ক্ষমতা ধ্বংস করা; সমস্ত জিম্মিকে মুক্ত করা ও এটা নিশ্চিত করা যে গাজা আর ইসরায়েলের জন্য হুমকি হয়ে উঠবে না। গত জুনে নেতানিয়াহু ঘোষিত যুদ্ধের সময় এ শর্তগুলো তার কার্যালয় থেকে প্রকাশ করা হয়।
এর আগে গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এর একদিন পর ফিলিস্তিনের গাজাবাসীর প্রতি সংহতি প্রকাশ করে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। গত কয়েক মাস ধরে ক্রমবর্ধমান আন্তঃসীমান্ত হামলার কারণে উত্তর ইসরায়েলের বহু সম্প্রদায়কে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার এ বিষয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আমোস হোচস্টেইনের সঙ্গে কথা বলেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত। তিনি বলেন, উত্তর ইসরায়েল থেকে সরিয়ে নেওয়া বাসিন্দাদের ফিরিয়ে আনার একমাত্র উপায় সামরিক পদক্ষেপ।
গ্যালান্তের কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধ বন্ধের চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা ছিলো। কিন্তু সেটি শেষ হয়ে যাচ্ছে। কারণ, হিজবুল্লাহ হামাসের সঙ্গে ‘নিজেকে বেঁধে রেখেছে’। তারা সংঘাতের অবসান ঘটাতে অস্বীকার করছে বলেও জানানো হয়।