পেনাল্টি কে নেবেন- এ নিয়ে পিএসজির সাবেক দুই ফুটবলার নেইমার জুনিয়র ও কিলিয়ান এমবাপ্পেকে অহরহ বিবাদে জড়াতে দেখা গেছে। দুজনই রাগচটা হিসেবে পরিচিত, ফলে লোকচক্ষুর আড়ালে থাকেনি তাদের দ্বন্দের ব্যাপারটি।
গত বছর পিএসজি ছেড়ে সৌদি ক্লাব আল হিলালে নাম লেখান নেইমার। ২০১৭ সালে বার্সেলোনা থেকে রেকর্ড দামে দলবদল করা ব্রাজিলিয়ান তারকার সঙ্গে শেষদিকে ফরাসি ক্লাবটির সম্পর্কে চরম অবনতি হয়। ধারণা করা হয়, প্রভাব ছিল শেষ কয়েক বছর ‘সর্বেসর্বা’ বনে যাওয়া এমবাপ্পেরও। এমনকি কিংবদন্তি লিওনেল মেসির সঙ্গেও তিক্ততা দেখা এমবাপ্পের।
২০২২ সালে পিএসজির ওপর বড় বড় শর্ত আরোপ করে চুক্তি নবায়ন করা এমবাপ্পে এখন রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়। গত জুনে ফ্রি ট্রান্সফারে দলবদল করেছেন তিনি। রিয়াল মাদ্রিদেই খেলেন নেইমারের জাতীয় দলের কয়েকজন সতীর্থ; এডার মিলিটাও, ভিনিসিউস জুনিয়র, রদ্রিগো, এন্দরিক। এরমধ্যে ভিনি, রদ্রিগো ও এন্দরিক খেলেন এমবাপ্পের মতো আক্রমণভাগে। সবাইকে ফরাসি ফুটবলারের ব্যাপারে সর্তক করলেন আল হিলাল তারকা।
এমবাপ্পের সঙ্গে খেলাকে নরকযন্ত্রণার সঙ্গে তুলনা করেছেন নেইমার। একটা কাগজে এটা জানিয়ে ভিনি-রদ্রিগোকে বার্তা পাঠিয়েছেন তিনি। বিষয়টি সামনে এনেছেন ফরাসি সাংবাদিক সাইরিল হানৌয়া। ইউরোপ ওয়ান রেডিওতে সাইরিল বলেছেন, ‘‘ব্রাজিলিয়ানরা (রিয়াল মাদ্রিদে) নেইমারের বন্ধু। নেইমার ও এমবাপ্পের মধ্যে সব সময় যু্দ্ধ চলত। এমবাপ্পের ব্যাপারে ব্রাজিলিয়ানদের কাছে নেইমার একটা কাগজে বার্তা পাঠিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘এমবাপ্পের সঙ্গে খেলা মানে নরকযন্ত্রণা’।’’
এমবাপ্পে দলবদল করার পর নেইমারের মতো অনেকেই রিয়াল মাদ্রিদের ড্রেসিংরুমের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন। কারণ তর্ক ছাড়াই এমবাপ্পে এই মুহূর্তের সেরা ফুটবলার। কয়েক বছর ধুঁকলেও ভিনি এখন নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন রিয়ালের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে, তার ওপর সওয়ার হয়েই গত কয়েক মৌসুম ধরে দাপট চলছে স্প্যানিশ জায়ান্টদের। তবে ভিনি-এমবাপ্পের মধ্যে এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যার কথা জানা যায়নি। দলের শেষ ম্যাচেই দুটি পেনাল্টি ভাগাভাগি করেছেন তারা।