দীর্ঘ ৫৫ বছর পর অ্যানফিল্ডে লিভারপুলকে হারাল নটিংহ্যাম। ১৯৬৯ সালের পর অ্যানফিল্ডে অলরেডদের বিপক্ষে প্রথম জয়ের নায়ক ক্যালাম হাডসন-ওডোই। দ্বিতীয়ার্ধের প্রতি আক্রমণ থেকে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে জাল খুঁজে নেন তিনি। দিনের আরেক ম্যাচে ব্রেন্টফোর্ডকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। এই ম্যাচে গোল করে একটি রেকর্ডও করেছেন আর্লিং হল্যান্ড।
পুরো ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন কয়েকবার। তবে সেই সুযোগ আর কাজে লাগাতে পারেনি মোমাম্মদ সালাহ, লুইস দিয়াস, দারউইন নুনেজরা। উল্টো নটিংহ্যামের কাছে গোল হজম করে বসে লিভারপুল। সেই গোলেই শেষ পর্যন্ত হেরে যায় হেরে যায় তারা। আসরে এই প্রথম গোল হজম করল আর্না স্লটের দল। টানা তিন জয়ের পর প্রথম হারের স্বাদ পেলো তারা। অন্যদিকে আসরে প্রথম জয় পেলো নটিংহ্যাম।
ঘরের মাঠে আক্রমণাত্মক শুরু করে লিভারপুল। প্রথম ভালো সুযোগ পায় ১৭ মিনিটে। পোস্টে লেগে ফিরে আসে দিয়াসের শট। আট মিনিট পর অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের ভালো পাস পেয়ে গোলরক্ষক বরাবর মেরে সুযোগ নষ্ট করেন দিয়োগো জটা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সুযোগ পান সালাহ। লিভারপুলের অভিজ্ঞ এই ফরোয়ার্ডের শট ঠেকিয়ে দেন নটিংহ্যাম গোলরক্ষক। ৬৯ মিনিটে নুনেসের শট বেরিয়ে যায় পোষ্ট ঘেঁষে। পরের মিনিটে অ্যালেকজান্ডার-আর্নল্ডের শট গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন নটিংহ্যামের এক খেলোয়াড়।
তিন মিনিট পর হাডসন-ওডোইয়ের গোলে এগিয়ে যায় সফরকারীরা। প্রতি আক্রমণে অ্যান্থনি এলাঙ্গার চমৎকার পাস পেয়ে সঙ্গে থাকা ডিফেন্ডারকে এড়িয়ে বাঁকানো শটে জাল খুঁজে নেন হাডসন-ওডোই। বাকি সময়ে গোলের তেমন কোনও সুযোগ তৈরি করতে পারেনি লিভারপুল। ৪ ম্যাচে তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে আছে তারা।
অন্যদিকে আর্লিং হলান্ডের রেকর্ডের দিনে ব্রেন্টফোর্ডকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। আগের দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা হলান্ড এই ম্যাচে করেছেন জোড়া গোল। আর তাতেই একটি রেকর্ড করে ফেলেন নওরেজীয়ান এই তারকা। মৌসুমের প্রথম চার ম্যাচেই ৯ গোল, প্রিমিয়ার লিগে এমন কীর্তি আর কারও নেই। ৪ ম্যাচের সবকটিতে জিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে ম্যানচেস্টার সিটি।