ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের পরিবারের সহায়তায় ‘জুলাই গণহত্যা স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ গড়ে তুলেছে ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন সরকার। এখন শহীদ ও আহতদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। ডয়চে ভেলেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেছেন, এই তালিকাটা সরকার এমনভাবে করতে চায়, যেন পরে এটা নিয়ে কোনো ধরনের প্রশ্ন না ওঠে।
তিনি বলেন, ‘আমরা তালিকা তৈরি করছি।
আমাদের স্পষ্ট হওয়া দরকার এই সংখ্যাটা কত। প্রত্যেক ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ করে ডাটাবেজ তৈরি করছি। যাতে করে কারা শহীদ হয়েছেন বা আহত হয়েছেন তা আমরা জানতে পারি। কারণ আমদের ভয় হলো, আমরা যদি এটা না করি; তাহলে কিছুদিনের মধ্যে ভুয়া শহীদ শুরু হয়ে যাবে। ওইটা থেকে আমরা বাঁচতে চাই।
ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা ওয়াদা করেছি প্রত্যেকটা শহীদ পরিবারের দায়িত্ব গ্রহণ করবো সরকারে পক্ষ থেকে। কাজেই এটার সংখ্যা নির্দিষ্ট হতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, একজন একবছর পরে এসে দাবি করলো, আমার পরিবারও তো শহীদ পরিবার। এমন যেন না হয়।
তিনি বলেন, সব শহীদ পরিবার তো হাসপাতালে যায়নি। কোনো কোনো পরিবার শহীদ সন্তানকে বাড়িতে নিয়ে গেছে। কাউকে বলেও নাই, তার ছেলে মারা গেছে, ছেলে শহীদ হয়েছে। অনেকে জানাজা দিয়ে দাফন করেছে। এখন আমরা খুঁজে খুঁজে তাদের বের করছি। কাজ মোটামুটি হয়ে গেছে। আরও কিছু হয়তো আসবে, সেটা বড় অঙ্কের হবে না।
ড. ইউনূস বলেন, এর জন্য আমরা ফাউন্ডেশন করেছি। এটা প্রত্যেক বছর বাজেট থেকে টাকা নিয়ে নিয়ে করার দরকার নেই। ওই ফাউন্ডেশন থেকে সবার দায়িত্ব নেওয়া হবে। দান থাকবে, সমর্থন থাকবে; তাদের টাকা পয়সা দেবে এই ফাউন্ডেশন। দেশের মানুষ ও দেশের বাইরের মানুষ ফান্ড দেবে। পরিবারের দেখা শোনার জন্য এই ফাউন্ডেশন একটি স্থায়ী ফাউন্ডেশন।