বাংলাদেশের সাংবিধানিক ভাবে প্রধান মন্ত্রী দাবী করা শেখ হাসিনার লিকড ফোন কোলে, দেশের খুব কাছেই আছি, চট করে ঢুকে পড়তে পারি’ আলাপের প্রেক্ষিতে পুনরায় বলছি, তিন টা অত্যন্ত জরুরী কাজ করা হয় নাই, যা খুব দ্রুত করা জরুরী।
আওয়ামি লীগের
১। অর্থনৈতিক কাঠামোকে ভেঙ্গে দেওয়া।
২।
রাজনৈতিক কাঠামোকে ভেঙ্গে দেওয়া।
৩। ফ্যাসিস্ট চেতনা ইন্ডাস্ট্রিকে ভেঙ্গে দেওয়া।
এই তিনটা লক্ষ্য অর্জনে , পাঁচটা কাজ করা জরুরী
১। আইন , স্বরাষ্ট্র বা প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে স্পেশাল ব্রাঞ্ছকে চিঠির প্রদানের মাধ্যমে বিমান বন্দরের AvSEC সফট ওয়ারে, সকল এমপি, আওয়ামি অঙ্গ সংগঠনের প্রধান ও জেলা উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতৃত্ব ও তাঁদের পরিবারের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া।
২। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়ে, সকল এমপি, আওয়ামি অঙ্গ সংগঠনের প্রধান ও জেলা উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতৃত্ব ও তাঁদের পরিবারের অর্থ উত্তোলন বন্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বা বিএফআইইউকে চিঠি দেওয়া ।
৩। একটি হাই প্রোফাইল ক্রাইম ট্রাইবুনাল আর জেলায় জেলায় বিশেষ ট্রাইবুনালের মাধ্যমে, আওয়ামি লীগের সকল এমপি, আওয়ামি অঙ্গ সংগঠনের প্রধান ও জেলা উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতৃত্ব ও তাঁদের পরিবারের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা।
৪। গণতন্ত্র হত্যার অপরাধে ২০১৪ থেকে নমিনেশান পাওয়া সকল আওয়ামি লীগ নেতা ও এমপির তিন টার্ম পর্যন্ত সকল নির্বাচন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া।
৫। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, উদিচি, জাতীয় কবিতা পরিষদ টাইপের সাংস্কৃতিক ফ্যাসিস্টদের অর্থের সুত্র চেক করা এবং তাঁদেরকে চেজ করা।
এই পাঁচটা বিষয় বিস্তৃত করি।
১। গত এক মাস ধরে, আর্মি প্যারালাল এডমিন তৈরি করেছে, আর্মি লোক ধরে লোক ছেড়ে দিচ্ছে এই সব বালছাল আরগুমেন্ট বলতে বলতে জেনারেল উইজডম বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, আপনি যদি সিস্টেম বুঝেন তাহলে জানবেন,আমি যে পাঁচটি জিনিষ হাইলাইট করেছি, তার প্রতিটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত এবং এই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গুলো বাস্তবায়ন করার সুনির্দিষ্ট প্রশাসনিক প্রক্রিয়া রয়েছে- যে প্রশাসনিক কাজ গুলো করা হয় নাই । এবং বাংলাদেশ আর্মি তে এমন কোন বাপের ব্যাটা নাই যে রাজনৈতিক সরকার এই প্রশাসনিক কাজ গুলো করতে গেলে – তাতে বাধা দিতে পারে।
বিমান বন্দরে স্পেশাল ব্রাঞ্ছ যে, AvSEC সফট ওয়ার মেন্টেন করে এইটা একটা বৈশ্বিক সফটওয়ার। এইটার মাধ্যমে গ্লোবাল এক্সেস কন্ট্রোল মেন্টেন করা হয়। সন্ত্রাস বা অন্যান্য ইস্যুতে কনট্রোল স্থাপন করার জন্যে বিশ্ব মোড়লেরা এইটা বানিয়েছে। বাংলাদেশ এইটা ব্যবহার করতে বাধ্য।
দেশ ত্যাগের যে নিষেধাজ্ঞার আলাপ আমরা শুনি সেইটা সিকিউরিটি গেটে দাঁড়ায় থেকে কেউ ছবি দেখে ম্যাচ করে না। AvSEC সিস্টেমে একটা এন্ট্রি দিলে, সেই লোক টার ইমিগ্রেশানের সময়ে রেড ফ্ল্যাগ হবে, এবং সেই রেড ফ্লাগ হলে সেই লোকটার ইমিগ্রিশান হবেনা।
এইটাই প্রক্রিয়া এবং এইটা বাদে আর কোন প্রক্রিয়া নাই।
এবং আউটগইং ইমিগ্রেশান বাদে কেউ যদি কোন সিস্টেমে দেশ ত্যাগ করে, তাকে, হোস্ট কাউন্ট্রিতে আটকানো হবে এবং ক্ষেত্রে বিশেষে ডিরেক্ট ফেরত পাঠায় ও দিতে পারে। কিন্তু সেইটা পরের ইস্যু।
যদি সরকার রাজনৈতিক ভাবে সিদ্ধান্ত নেয় যে, এই লোক গুলোকে তারা বের হতে দিবেনা, তবে AvSEC সিস্টেমে একটা এন্ট্রি যথেষ্ট ।
এই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত সরকার নেয় নাই। এতো দিন করে নাই, এখনো সময় আছে, আমাদের সরকারকে চাপ দিতে হবে যেন, সকল এমপি, আওয়ামি অঙ্গ সংগঠনের প্রধান ও জেলা উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতৃত্ব ও তাঁদের পরিবারের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়, নিয়ম তান্ত্রিক ভাবে । সেই নিয়ম AvSEC সিস্টেমে এন্ট্রি দেওয়া।
স্পেশাল ব্রাঞ্চকে একটা চিঠি দেওয়া মাত্র তারা তাৎক্ষণিক ভাবে এই আদেশ পালন করবে – একটা প্রাণীও বৈধ ভাবে দেশের বাহিরে যেতে পারবে- বর্ডার দিয়ে পালিয়ে যেতে হবে – কিন্ত্ত এই চিঠি এখনও দেওয়া হয় নাই। ।
২। বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বা বিএফআইইউকে চিঠি দিয়ে সকল এমপি, আওয়ামি অঙ্গ সংগঠনের প্রধান ও জেলা উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতৃত্ব ও তাঁদের পরিবারের ব্যাংক একাউন্ট ফ্রিজ করা সহজতম কাজ।
কেন এইটা সরকার এখনো করতেছেনা আল্লাহ জানে। কয় দিন আগে দেখলাম, নইমুল ইসলাম খান, তার জমি বেচছে। এই জমি বেচার টাকা ডক্টর ইউনুসের সরকারকে অস্থিতিশীল করতে ব্যবহৃত হবে।
কিছু জিনিষ সময়ে করতে হয়,এবং এইটা করার এখনো সময় আছে। এই একাউন্ট গুলো ফ্রিজ করলে, আওয়ামি আর্থিক নেটওয়ার্ক সম্পূর্ণ অচল হয়ে যাবে। এমন কি যদি ইতোমধ্যেই এই একাউন্ট থেকে ত্রান্সফার করা হয়, এই একাউন্ত গুলোর থেকে কোথায় কোথায় অর্থ ট্রান্সফার হয়েছে সেইটা দিয়ে আওয়ামি লীগের ফিনান্সিয়াল কাঠামোকে ট্র্যাক করা যাবে এবং তাঁদের বিচারের কাঠামোতে আনা যাবে।
প্লিজ ডোনট সে, এইটা আইন সিদ্ধ না।
১০০০ ছাত্র যুবক শিশুদের যে সিভিল ওয়ারের মত করে, হত্যা করেছে তার জন্যে নতুন আইন বানাতে হবে। পুরাতন আইনে আইনসিদ্ধ দেখলে হবেনা।
এইটা রেভেলুশানারি পিরিয়ড। এই সময়কে সেই ভাবে ডিল করতে হবে।
৩। জেলায় জেলায় বিশেষ ট্রাইবুনাল করে, আওয়ামি দুর্নীতির বিচার করা প্রয়োজন। এই ট্রাইব্যুনাল করলে, প্রতিটা এলাকায় আপনি অভিজোগ পাবেন যে, কীভাবে কত লক্ষ লক্ষ মানুষকে লুট করা হয়েছে।
শেখ হাসীনা, দরবেশ বাবা,বা এস আলমের মত হাই প্রফাইল ক্রাইম গুলোর জন্যে আলাদা কোর্ট হবে। বাংলাদশের প্রথাগত প্রক্রিয়ায় এদের বিচার করা মানে এদের মুক্তি প্রদান। কারন, আপনি জেভাবেই সাজাননা কেনো, মামলা প্রক্রিয়ার দুর্বলতায় এরা মুক্তি পাবে। তাছাড়া পুলিশ বা প্রসিকিউশান অফিসাদের অধিকাংশই আওয়ামি লীগ, ফলে এই লোক গুলোকে দিয়ে এখন যেভাবে এইটা সেইটা ধারায় শত শত মামলা দিচ্ছে তা আওয়ামি লীগকে ইতোমধ্যেই মুক্তি দিচ্ছে, বা তাঁদেরকে অপরাধির বদলে আন্তর্জাতিক বিশ্বের চোখে ভিক্টিম হিসেবে চিহ্নিত করছে।
১/১১ এর সময়ে যেভাবে দুর্নীতি দমনের স্পেশাল ট্রাইবুনাল করা হয়েছিল,মেকশিফট ক্যাম্পের মাধ্যমে কোর্ট স্থাপন করা হয়েছিল। সেই একই ভাবে আওয়ামি লীগের এমপি, নেতা ও তাঁদের পরিবারদের বিচারে এই ভাবে স্পেশাল ক্যাম্প স্থাপন করে তাঁদের বিচার করতে হবে।
এই আলাপটা করলে, অনেকেই ভয় পান এই বলে যে, ১/১১ রিপিট করা যাবেনা। ১/১১ এর সম্পর্কে ভুল রিডিং এই সব ধারনার পেছনে দায়ী। ১/১১ এর অপরাধ ছিল, পলিটিকাল স্যাটেল্মেনট, ব্যাল্যান্স অফ পাওয়ার ও জন সমর্থন বাদে মাইনাস টু করা। বাংলাদেশের ১০ বছর ধরে গণতন্ত্র ধ্বংস কারি ও ১০০০ নারী পুরুষ ও শিশুর হত্যাকারি আওয়ামি লীগকে বিচারের বিষয়ে পূর্ণ জন সমর্থন রয়েছে।
এইটা এখুনি করতে হবে।
এদেরকে বিশেষ ট্রাইবুনালে দ্রুত বিচারের আয়তায় না এনে, বাংলাদেশের দীর্ঘ সুত্র রেল গাড়ি ধমাধম বিচার প্রক্রিয়াই বিচার করলে , আওয়মি লীগ ফেরত আসবে।
৪। গণতন্ত্র হত্যার অপরাধে ২০১৪ থেকে নমিনেশান নেওয়া সকল আওয়ামি লীগ এমপির তিন টার্ম পর্যন্ত নির্বাচন নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে।
নিশ্চয়ই এইটার জন্যে আইন নাই, তবে, আইন বানান।
এই আওয়ামি লীগ তিন টা নির্বাচন করেছে, আমাদের পারটিসিপেসন বাদে, এখন তাঁদেরকে নির্বাচন থেকে বাতিল করার আইন তৈরি করেন। আওয়ামি লীগকে নিষিদ্ধ করে কোন লাভ হবেনা। আওয়ামি লীগ অন্য নামে ফেরত আসবে।
কিন্তু আওয়ামি ক্ষমতা কাঠামোকে যদি আমরা নিষিদ্ধ করি, তারা ফেরত আসতে পারবেনা। এরা পরিবার কেন্দ্রিক দল, প্রতিটা কন্সটিটিউনেসিতে যদি পরিবার গুলোকে আমরা আইন করে, রাজনীতি থেকে বাহিরে রাখতে পারি, তবে, আওয়ামি ক্ষমতা কাঠামো দুর্বল হবে।
৫। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, উদিচি, জাতীয় কবিতা পরিষদ টাইপের সাংস্কৃতিক ফ্যাসিস্টদের অর্থের সুত্র চেক করা এবং তাঁদেরকে চেজ করার কাজটা অনৈতিক মনে হইলেও অনৈতিক না।
এই ফ্যাসিস্ট কাঠামো শেখ হাসিনার ক্ষমতার পাটাতহ্ন নির্মাণ করেছে। তাঁদের ফিনান্সিয়াল নেটওয়ার্ক ট্র্যাক করে দেখেন, এরা বিভিন্ন ভাবে আওয়ামি লুটপাটের অংশ ছিল। এদেরকে দৌড়ের উপরে রাখলে, এরা সামনে এসে বিষের ছোবল দিতে ভয় পাবে।
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যে টেমপ্লেট ব্যবহার করে যুদ্ধাপরাধীদের সেই করেছে, সেই একই প্রক্রিয়ায় আমাদের আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দের পেছনে লেগে থাকতে হবে। ঘাতক দালাল রা কে কোথায় বই বানাতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে একটি সাংস্কৃতিক লড়াই জারি রাখতে হবে ।
শেখ হাসীনা মোটেও কোন দুর্বল বা ডাম্ব শাসক ছিলনা। সে মোটেও শুধু মাত্র ভয় বা অস্ত্র দিয়ে শাসন করে নাই।
সে বিভিন্ন খাতে এই ভাবে বিভিন্ন ভাবে চাপ তৈরি করেছে। এইটা লুজ করলে, আরেকটা টাইট করেছে। আমাদেরকে একই ভাবে বিভিন্ন মুখী চাপ তৈরি করতে হবে । একটা লুজ হলে আরেকটা টাইট দিতে হবে ।
এই স্টেপ গুলো আওয়ামি লীগের আর্থিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পাটাতনটাকে ভেঙ্গে দেবে।
এই গুলো যদি না করেন , তবে, বিভিন্ন ভাবে আওয়ামি লীগ ফেরত আসবে, যার ফলে এক দিন হাসিনা ঠিকই চট করে ঢুকে পড়বে।
অনেকেই ভেবে ভেবে বের করতেছেন নির্বাচনের পর বিএনপি একক আধিপত্য কীভাবে কাউন্তার দেবেন । তারা ধরেই নিয়েছেন আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট নেটওয়ার্ক নির্মূল হয়ে গেছে,
সরি ডারলিং, বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির প্রধান প্রতিপক্ষ এখনও আওয়ামি লীগ ও শেখ হাসীনা।
তাঁদেরকে ক্ষমতা কাঠামো ভাঙ্গার জন্যে কিছুই করা হয় নাই।
তাঁদের বিষদাত যদি এখনই না ভেঙ্গে দেন, শেখ হাসীনা ফেরত আসবে।