রাশিয়াকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করার জন্য ইরানকে অভিযুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনের যুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য রাশিয়াকে স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করার জন্য তেহরানের উপর নতুন নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। মঙ্গলবার লন্ডন সফরের সময় ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ল্যামির সাথে আলোচনায় এ অভিযোগ করেন তিনি।
এন্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, “রাশিয়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের চালান পেয়েছে এবং সম্ভবত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করবে।
” রাশিয়াকে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের কারণে দেশটি আরও বিস্তৃত পরিসরে হামলা চালাতে সক্ষম হবে বলে মনে করছেন তিনি।
অবশ্য রাশিয়ায় অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান।
জাতিসংঘে ইরানের সাম্প্রতিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংঘাতের ফলে মানুষের প্রাণহানি, অবকাঠামো ধ্বংস অমানবিক। ইরান এই ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত নয় বরং দেশটি অন্যান্য দেশগুলিকে সংঘাতে জড়িত পক্ষগুলিকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার আহ্বান জানায়।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, রাশিয়ায় অস্ত্র রপ্তানির অভিযোগ ইরান দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে। এসময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করে বলেন “ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগকারীরা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে সবচেয়ে বড় অস্ত্র রপ্তানিকারকদের মধ্যে অন্যতম। ” তেহরান ইউক্রেনের যুদ্ধের অংশ নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ইরান ইতিমধ্যেই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত দেশগুলির মধ্যে একটি। মার্কিন ট্রেজারি এবং স্টেট ডিপার্টমেন্ট ইরান ও রাশিয়ার দশ ব্যক্তি এবং নয়টি সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন ট্রেজারি।
এবারে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার মধ্যে কিছু জাহাজ অন্তর্ভুক্ত আছে। এই জাহাজগুলি ইরান এবং রাশিয়ার মধ্যে কাস্পিয়ান সাগরে নিয়মিত পণ্য পরিবহন করে। এদিকে, ফ্রান্স, জার্মানি এবং ব্রিটেন, ইরানের সাথে বিমান পরিষেবা চুক্তি বাতিল করছে।