আবারও ইসরাইলে হামলার হুমকি দিয়েছে ইরান। দেশটির রেভল্যুশনারি গার্ডস বাহিনীর প্রধান হোসেইন সালামি বলেছেন, তেল আবিবে এমন হামলা চালানো হবে যা তারা কল্পনাও করতে পারছেনা। তবে কখন, কোথায় এবং কীভাবে এই হামলা হবে তা অনিশ্চিত বলে জানান সালামি।
গত জুলাইয়ে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে তেহরানে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের দায় তেল আবিবের ওপর দিয়ে ইসরাইলে হামলার ঘোষণা দেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। এরপর থেকেই মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। প্রতিশোধের আগুনে পুড়তে থাকা তেহরান যে কোনো সময় হামলা চালাতে পারে, এখনও সে আশঙ্কা করছে তেল আবিব।
এরইমধ্যে হানিয়া হত্যাকাণ্ড ইস্যুতে আবারও ইসরাইলকে হুমকি দিলো ইরান। দেশটির রেভল্যুশনারি গার্ডস বাহিনীর প্রধান হোসেইন সালামি বলেন, ‘ইসরাইলকে তার কৃতকর্মের তিক্ত স্বাদ ভোগ করতে হবে।’ তেহরানে হানিয়া হত্যার প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ এবার ভিন্ন হবে বলেও জানান সালামি।
ইরানি এই কমান্ডার আরও বলেন, তেহরানের সম্ভাব্য হামলার দুঃস্বপ্নে কাঁপছে ইসরাইল।
এদিকে ইসরাইলের সঙ্গে চলমান এই উত্তেজনা আর ইউক্রেনে যুদ্ধরত রুশ বাহিনীগুলোকে ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ ইস্যু নিয়ে ইইউর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ইরানের পক্ষ নিয়েছে রাশিয়া। তেহরানকে তাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারের মর্যাদা দিয়েছে মস্কো। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ ইরানের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের নতুন এই উচ্চতার কথা জানান।
রাশিয়াকে ইরানের কোনো ধরনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ ইউক্রেন যুদ্ধে মারাত্মক উত্তেজনা তৈরির বিষয় হিসেবে বিবেচিত হবে বলে গেল শুক্রবার জানায় যুক্তরাষ্ট্র। যদিও এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি অস্বীকার করেছে ইরান।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি উল্টো যুক্তরাষ্ট্রের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগকারীরা এই যুদ্ধের এক পক্ষের কাছে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহকারী।