যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা একটি রাশিয়ান প্রকল্প থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রফতানির প্রচেষ্টার জন্য এবার ভারতে নিবন্ধিত দুটি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
গেল বৃহস্পতিবার এক ঘোষণায় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর বলেছে, তারা ‘আর্কটিক এলএনজি ২ প্রকল্প পরিচালনা করার জন্য রাশিয়ার ক্ষমতা কমাতে’ আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
রাশিয়ার আর্কটিক অঞ্চলে গড়ে ওঠা ওই প্রকল্প থেকে প্রতি বছর ১৯.৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন এলএনজি উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছিল।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের বিবৃতিতে বলা হয়, আজকের পদক্ষেপে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা আর্কটিক এলএনজি ২ প্রকল্প থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানির প্রচেষ্টার সঙ্গে যুক্ত দুটি কোম্পানি এবং দুটি জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু (নিষেধাজ্ঞা আরোপ) করছি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, দুটি কোম্পানি-গোটিক এনার্জি শিপিং কো (গোটিক) এবং প্লিও এনার্জি কার্গো শিপিং ওপিসি প্রাইভেট লিমিটেড (প্লিও এনার্জি)- এলএনজি ক্যারিয়ার জাহাজ ‘নিউ এনার্জি’-এর নিবন্ধিত মালিক এবং বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক ছিল।
দ্য প্রিন্টের প্রতিবেদন মতে, গেল ২৫ আগস্ট নিউ এনার্জি ‘মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা আর্কটিক এলএনজি ২ প্রকল্প থেকে কার্গো লোড করার জন্য’ তার স্বয়ংক্রিয় সনাক্তকরণ ব্যবস্থা বন্ধ করাসহ প্রতারণামূলক পন্থা বেছে নেয়। এছাড়া এলএনজি ক্যারিয়ার ‘পাইওনিয়ার’-এর সঙ্গে ‘শিপ টু শিপ’ স্থানান্তর ব্যবহার করা হয়। যা ২৩ আগস্ট আটকে দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর আরও জানিয়েছে, এটি ‘মুলান’ নামে আরও একটি জাহাজ চিহ্নিত করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। যেটি প্লিও এনার্জি দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল।
এদিকে, ভারতীয় শিপিং কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার ফলে তাদের কার্যক্রম উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিবেচনায় নিলে, বিষয়টি নয়াদিল্লির জন্য নেতিবাচক হয়ে দেখা দিতে পারে।