জার্মানির প্রাদেশিক নির্বাচনে চমক দেখিয়েছে দেশটির সবচেয়ে আলোচিত-সমালোচিত ও চরম রক্ষণশীল ডানপন্থি রাজনৈতিক দল অল্টারনেটিভ ফর ডয়েচল্যান্ড (এএফডি)।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) থুরিঙ্গিয়া ও জাক্সেনে রাজ্যে পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে থুরিঙ্গিয়ার নির্বাচনে ৩৩ দশমিক ২ শতাংশ ভোট নিয়ে এগিয়ে আছে এএফডি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩ দশমিক ৬ ভোট পেয়েছে জার্মান সংসদে বিরোধী রাজনৈতিক দল ক্রিস্টিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি সিডিইউ।
তৃতীয় দল হিসেবে নির্বাচনে ভোটারদের মন জিতে নিয়েছে সম্প্রতি যাত্রা শুরু করা বুইন্ডনিস সারাহ ভাগেনক্নেশ্ট। দলটি পেয়েছে ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ। অন্যান্য দলের মধ্যে বামপন্থি দল দি লিংকে ১২ দশমিক ৭ শতাংশ, ক্ষমতাসীন এসপিডি ৬, গ্রীনদল ৩ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে।
একইদিনে প্রতিবেশী অঙ্গরাজ্যে জাক্সেনের প্রাদেশিক নির্বাচনেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মাধ্যমে নিজেদের শক্তিমত্তার জানান দিয়েছে কট্টরপন্থি দল এএফডি।
দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল বলছে ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছে ক্রিস্টিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি সিডিইউ। প্রদেশটিতে কম যায়নি এএফডিও। এই প্রদেশেও ১১ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পেয়ে ভোটারদের অন্যতম পছন্দের দলটি যথারীতি সারাহ ভাগেনক্নেস্ট এর বিএসবি। তাপরপরের অবস্থানে শলজের এসপিডি, গ্রীনদল ও দি লিংকে।
এদিকে প্রদেশ দুটিতে কোন রাজনৈতিক দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠাতা না পাওয়ায় স্থানীয় সরকার গঠনে কিছুটা হলেও সংকটে পড়তে হতে পারে রাজনৈতিক দলগুলোকে। সরকার গঠন করতে অন্য দলের সঙ্গে জোট বাঁধতে হবে। কোন দলের সঙ্গে কার জোট হবে, সেটি আগামী সপ্তাহে জানা যাবে।
যদিও অল্টারনেটিভ ফর ডয়েচল্যান্ড নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্য পেলেও রাজনৈতিক চিন্তাধারায় কট্টর মনোভাব, ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়ে কড়া সমালোচনাসহ অভিবাসী বিদ্বেষ পোষণ করার কারণে দলটির সঙ্গে জোট বাঁধতে অপারগতা প্রকাশ করেছে প্রদেশ দুটিতে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া দলগুলো।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জার্মানির বর্তমান প্রেক্ষাপটে চ্যান্সেলর শলজের নেতৃত্বে তিন দলের জোট সরকারের রাজনৈতিক নানা ব্যর্থতার কারণেই এএফডির এমন সাফল্য পেয়েছে।