যদি কেউ মনে করেন আওয়ামিলীগ গিয়ে বিএনপি আসার মতন পরিস্থিতিতে আছেন, তাইলে ভুল করবেন। এটা একটা সিভিল ওয়ার পরিস্থিতি ছিল। আমরা আওয়ামীলীগের মতন প্রতিহিংসাপরায়ণ নয় দেখে চুপ আছি। কিন্তু, অনেকেই এটাকে ভুল ভাবে নিচ্ছেন দেখে লিখতে হচ্ছে।
গণহত্যাকারীরা মেরে ফেলার জন্য ছাত্রদের অলিতে গলিতে খুঁজেছে। গণহত্যার দোসররা সব রকম ন্যায্যতা উৎপাদন করে যাচ্ছিল ৫ই আগস্ট পর্যন্ত। সেসকল রক্তপিপাসুদের যখন টিএসসি-শাহবাগ-মিডিয়ায় দেখি, তখন আসলেই লজ্জা হয়, আতঙ্ক ও জাগে!
প্রশাসনের সাবেকি ফ্যাসিস্ট প্রবণতার লোকেরাও ভুল করছেন। কয়েকটা ধর পাকড়, রিমান্ড আর জনরোষের নাটক দিয়ে আপনারা সন্ত্রাসীদের বাঁচিয়ে রাখবেন ভাবছেন। ভুল হচ্ছে, আমরা খেয়াল করছি। অবশ্যই নিরপেক্ষ কমিশনের মাধ্যমে বিচারের রূপরেখা নির্ধারণ করে খুব দ্রুতই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত আওয়ামিলীগ, এর অঙ্গসংগঠন, সাংস্কৃতিক দোসর এবং মহাজোটের শরিকদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। যারা ফ্যাসিজমের এনাবলার ছিল, তাদেরকেও নিজেদের রিডিম করতে হবে।
এতদিন জঙ্গীবাদের নাটক করে বিরোধীদল দমন করা হয়েছে, ইসলামফোবিয়া ছড়িয়ে জনগণকে বিভাজিত করা হয়েছে- সেসবের বিরোধিতা করেছি বলে এই নয় যে আসলেই যারা ইসলামের নামে জঙ্গীবাদকে, গণতন্ত্র ও বিচারিক প্রতিষ্ঠানের বিরোধিতা করবেন, তাদেরকে আমরা ছেড়ে কথা বলব। আমরা রাষ্ট্রীয় ফ্যাসিবাদের সাথে সাথে সামাজিক ফ্যাসিবাদের ও বিরুদ্ধে। ফিতনা ও ফাসাদ করা থেকে দূরে থাকুন, যদি এ মাটিকে ভালোবাসেন। নইলে এ মাটি আপনাদের গ্রহণ করবে না।