মালদ্বীপে অবৈধভাবে কর্মরত ও ব্যবসা পরিচালনার দায়ে তিন হাজারেরও বেশি অভিবাসীকে নির্বাসিত করেছেন দেশটির বর্তমান প্রশাসন। যার বেশিরভাগই ছিল প্রবাসী বাংলাদেশি, যাদের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিলনা। বুধবার দেশটির ইমিগ্রেশন কন্ট্রোলার জেনারেল মোহাম্মদ শাম্মান ওয়াহেদের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম পিএসএম-এর প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
অবৈধভাবে কর্মরত ও কাজের ভিসায় এসে ব্যবসা পরিচালনার দায়ে এই পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজারেরও বেশি প্রবাসীকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে মালদ্বীপ সরকার।
যারা পুনরায় কাজের ভিসায় আর দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবেনা। এছাড়াও দেশটিতে প্রতিদিনই চলছে অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান।
বৈধ পাস বা পারমিট ছাড়া কাজ ও ব্যবসা করা এবং বৈধ ভ্রমণ ভিসা নেই এমন অভিবাসীদের বিষয়ে তথ্য এবং স্থানীয় জনসাধারণের দেওয়া সন্ধানের ভিত্তিতে গোটা মালদ্বীপের হটস্পটগুলোতে অপারেশন কুরাঙ্গি বা বায়োমেট্রিক শনাক্তকরণ পদ্ধতির মতো বিভিন্ন নামে অভিযান চালিয়ে প্রতিদিনই বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের আটক করছে দেশটির ইমিগ্রেশন।
মালদ্বীপ সরকারের দেওয়া এত সুযোগ সত্ত্বেও দেশটিতে বর্তমানে থাকা প্রায় দেড় লাখ বাংলাদেশিদের মধ্যে যারা অবৈধভাবে বসবাস এবং ব্যবসা করছেন তারা অতি দ্রুত বৈধতা না নিলে, নানা জটিলতায় মালদ্বীপ থেকে দেশে ফিরতে পারে এর অর্ধেকেরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি। যার প্রভাব পড়তে পারে রেমিট্যান্সেও!
দেশটির কন্ট্রোলার জেনারেল বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে চলতি বছরের ২৫ আগস্ট পর্যন্ত মালদ্বীপ থেকে মোট তিন হাজার ৩২২ জন অভিবাসীকে দ্রুত নির্বাসিত করা হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছরে নির্বাসিত অভিবাসীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৬৪ দশমিক ৩ শতাংশ। এছাড়া দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ও ইমিগ্রেশন কন্ট্রোলারের যৌথ অভিযানের ফলে অবৈধ ব্যবসা এবং খাদ্য উৎপাদন কার্যক্রমের সাথে জড়িত বেশ কিছু অভিবাসীকে বর্তমানে আটক করা হয়েছে। যারা দেশটির খাদ্য নিরাপত্তার মান পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এসব ব্যবসায়ীদেরও দ্রুত নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চলছে।