কলকাতার আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছে ‘ছাত্রসমাজ’, পুলিশের সঙ্গে ঘটেছে সংঘর্ষের ঘটনাও। এর মধ্যেই বুধবার (২৮ আগস্ট) রাজ্যটিতে ‘বাংলা বনধ’ কর্মসূচি পালন করছে নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি। তবে মমতার অভিযোগ, ছাত্রসমাজের মুখোশে রাজ্যকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন মোদি। হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে গদি থেকে সরিয়ে দেয়ারও।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, কেউ কেউ মনে করছে এটা (পশ্চিমবঙ্গ) বাংলাদেশ। আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি। ওরা আমাদের মতো কথা বলে, ওদের আর আমাদের সংস্কৃতি এক। কিন্তু মনে রাখবেন বাংলাদেশ একটা আলাদা রাষ্ট্র। ভারতবর্ষ একটা আলাদা রাষ্ট্র।
নরেন্দ্র মোদি তার পার্টিকে দিয়ে আগুন লাগাচ্ছে অভিযোগ করে মমতা আরও বলেন, মনে রাখবেন বাংলায় যদি আগুন লাগান, আসামও থেমে থাকবে না। নর্থইস্টও থেমে থাকবে না। উত্তরপ্রদেশও থেমে থাকবে না। বিহার-ঝাড়খণ্ড-দিল্লিও থেমে থাকবে না। আপনার (মোদি) চেয়ারটা টলমল করে দেব।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিজেপির মতো অত্যাচারী, অহংকারী, চক্রান্তকারী আমি দেখিনি। প্রধানমন্ত্রী শুধু এজেন্সি লাগিয়েছেন; উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশের ঘটনায় তো পদত্যাগ করেননি।
মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের সচিবালয় ‘নবান্ন’ ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছিল ছাত্রসমাজ। এ নিয়েও কথা বলেছেন মমতা। তার দাবি, নবান্ন ঘেরাওয়ের মাধ্যমে লাশ ফেলতে চেয়েছিল বিজেপি। যেন আন্দোলন উসকে দেয়া যায়। কিন্তু পুলিশ তা হতে দেয়নি।
তিনি বলেছেন, গতকাল ওরা লাশ চেয়েছিল। কিন্তু পুলিশ সংযত ছিল, রক্ত দিয়েছে, ধৈর্য দেখিয়েছে। পুলিশকে স্যালুট।
আরজি করের ধর্ষণের সঙ্গে জড়িতদের ফাঁসি দেয়া নিয়েও কথা বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক, চেয়েছিলাম ফাস্ট ট্র্যাক নিয়ে গিয়ে ফাঁসি দিতে। ধর্ষণ করলে একমাত্র শাস্তি ফাঁসি, রাজ্যের হাতে ক্ষমতা থাকলে ৭ দিনে ফাঁসি দিতাম। আগামী সপ্তাহে বিধানসভার অধিবেশন ডেকে ধর্ষণবিরোধী বিল পাস করাব।’