বাগেরহাটের মোংলায় দলীয় কোন্দলের জেরে যুবদলের এক কর্মীর শরীর গরম পানিতে ঝলসে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে বিএনপির কর্মীদের বিরুদ্ধে। আহত অবস্থায় যুবদল কর্মীর নাম রতন হাওলাদারকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রতন পেশায় টাইলস মিস্ত্রি। তার বাড়ি মোংলা উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের চটেরহাট বাজার সংলগ্ন দোয়ারীজারে।
রতন হাওলাদারের স্ত্রী তানিয়া বেগম জানান, বুধবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দোয়ারীজারা এলাকার বিএনপির দলীয় কোন্দল নিয়ে বাকবিতাণ্ডা হয়। এসময় সুন্দরবন ইউনিয়নের মাদুরপাল্টা এলাকার বিএনপি নেতা ফরিদ শেখের লোকজন অতর্কিত হামলা চালায়। এতে নেতৃত্ব দেন ফরিদের ভাতিজা সুজন (৩৮) ও ভাই রিয়াজ (৩৮)।
হামলার একপর্যায়ে খোনকারেরবেড় এলাকার সবুরের চায়ের দোকান থেকে কেতলি নিয়ে গরম পানি দিয়ে রতনের শরীর ঝলসে দেন। এ সময় রতন আর্তনাদ শুরু করলে তাকে মারধর করতে থাকেন ফরিদের লোকজন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে তানিয়া বেগম জানান, নির্যাতনের একপর্যায়ে রতন অজ্ঞান হয়ে পড়লে তারা ফেলে রেখে চলে যায়। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এখন ফরিদ গংয়ের ভয়ে তারা থানায় অভিযোগও দিতে পারছেন না।
রতনের স্ত্রী তানিয়া আরও বলেন, আমার স্বামী বিএনপির একপক্ষের সমর্থক ও ফরিদ গং আরেক পক্ষের সমর্থক। এই ঝামেলা নিয়েই মূলত এ ঘটনা ঘটিয়েছে ফরিদ ও তার লোকজন।
এ বিষয়ে থানা বিএনপির সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ফরিদ শেখ বলেন, আমি, আমার ভাই ও ভাতিজা কেউই রতনকে মারধর করিনি। ওই ছেলে ও তার ভাই এলাকার এক হিন্দু সম্প্রদয়ের স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে উত্ত্যক্ত করেছে। সেটা নিয়ে স্থানীয় লোকজন জিজ্ঞেস করতে গেলে রতন উত্তেজিত হয়ে তাদের সাথে তর্ক-বিতর্কের একপর্যায় উভয়ের মধ্য মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, চটেরহাট দোয়ারীজারা এলাকায় একটি মারামারির ঘটনা শুনেছি। ওই এলাকার পুলিশ ফাঁড়িকে খোঁজ-খবর নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হযেছে। এখনও পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।