পাহাড়ে আর কোন রকম বৈষম্য মেনে নিবে না ছাত্র জনতা বলে হুঁশিয়ারি দিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মো. মজিবর রহমান। তিনি বলেন, পার্বত্যাঞ্চলের স্থানীয় বাঙালীরা দীর্ঘ বছর ধরে বৈষম্যের শিকার। বিগত বছরে সরকারি চাকরি, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ নানা সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল তিন পার্বত্য জেলার স্থানীয় বাঙালী শিক্ষার্থীরা।
পার্বত্য জেলা পরিষদ ও উন্নয়ন বোর্ডসহ সব কিছুতেই বাঙালীদের পাশ কাটিয়ে ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করেছিল স্বৈরাচারী সরকার।
এ নতুন বাংলাদেশে বৈষম্য, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি মুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম গঠনের করার এখন সময়ের দাবি।
বুধবার দুপুর ১২টায় রাঙামাটি জিমনেসিয়াম মাঠে ছাত্র জনতার মহা সমাবেশে এসব কথা বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মো. মজিবর রহমান।
এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মো. আলমগীর কবির, সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট পারভেজ তালুকদার, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি জেলা সভাপতি শাব্বির আহম্মেদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আসিফ ইকবাল ও সাধারণ সম্পাদক মো. হাবীব আজম উপস্থিত ছিলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মো. মজিবর রহমান আরও বলেন, পার্বত্য জেলা পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডসহ সকল ক্ষেত্রে পাহাড়ের বাঙালিদের সাথে বৈষম্য দূর করে জনসংখ্যা অনুপাতে বণ্টন করতে হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে বিছিন্নবাদী সশস্ত্র সংগঠন, সংঘাত, হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজি, নির্যাতন, নিপীড়ন বন্ধ করতে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি বলেন, পাহাড়ে আদিবাসী স্বীকৃতির নামে আলাদা রাষ্ট্র “জুম্মলেন্ড” প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত উগ্র- ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর দেশীয় কুচক্রী মহল। এসব কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
আর আগে রাঙামাটির ১০টি উপজেলাসহ অপর দুই পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের ছাত্র জনতার সমন্বয়ে রাঙামাটি পৌর চত্বর থেকে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাঙামাটি জিমনেসিয়াম মাঠে ছাত্র জনতার মহা সমাবেশে মিলিত হয়। মিছিলে বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে বিদ্যালয়, কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। তাদের প্রতিবাদি স্লোগান ধ্বনিতে পরিনত হয় পুরো রাঙামাটি শহর।