ফেসবুকে ভারতবিরোধী পোস্টে ‘লাভ’ রিঅ্যাক্ট দেওয়ার ‘অপরাধে’ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হলো এক শিক্ষার্থীকে। এমনই অভিযোগে শিরোনামে এসেছে দেশটির আসাম রাজ্যের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এনআইটি)।
মেহজাবিন নামের ওই বাংলাদেশি তরুণী এনআইটি শিলচরে ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের শিক্ষার্থী। সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে করা একটি ভারতবিরোধী পোস্টে ‘লাভ’ রিঅ্যাক্ট দিয়ে সমর্থন জানান তিনি।
এরপরই সোমবার তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায় এনআইটি কর্তৃপক্ষ।
অবশ্য কাছাড় জেলা পুলিশের কর্মকর্তা নুমাল মাহাট্টের দাবি, ওই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়নি। বরং বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পরই দেশে পাঠানো হয়েছে তাকে। এমনকি এটি নির্বাসনও নয়।
তিনি নিজেই দেশে ফেরার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। এরপর সোমবার সকালে ওই ছাত্রীকে করিমগঞ্জে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি সকাল ১১টার দিকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে সীমান্ত অতিক্রম করেন।
নুমাল মঙ্গলবার সংবাদ সংস্থাকে বলেন, ‘ওই ছাত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কলেজেরই এক প্রাক্তন ছাত্রর ভারতবিরোধী পোস্টে সমর্থন জানিয়েছিলেন। ওই ছাত্রও বাংলাদেশি। ছয় মাস আগে পড়াশোনার পাট চুকিয়ে ভারত ছেড়েছেন তিনি। বর্তমানে তিনি সে দেশেরই বাসিন্দা। ’
পোস্টদাতা ওই প্রাক্তন ছাত্রর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে একটি সংগঠন। সংগঠনের মুখপাত্র শুভাশিস চৌধুরী জানিয়েছেন, ভারতবিরোধী পোস্টটিতে প্রতিষ্ঠানের এক ছাত্রীর লাভ রিঅ্যাক্ট তাদের নজরে আসে। কর্তৃপক্ষকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আরজি জানিয়েছেন তারা। পোস্টে ছাত্রীর সমর্থনের বিষয়টি চোখে পড়ার পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এনআইটির পরিস্থিতি।
এদিকে দ্বিতীয় বর্ষের এই ছাত্রী তার বাকি পরীক্ষাগুলো দিতে আবার ভারতে ফিরবেন কি না, এ বিষয়ে পুলিশ জানায়, এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। ওই ছাত্রী ফিরবেন কি না, সেটা তার সিদ্ধান্ত।
সরকারি সূত্র বলছে, এই মুহূর্তে এনআইটি শিলচরে পড়াশোনা করেন ৭০ জন বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রী। তাদের সঙ্গে পুলিশের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে। ভারতবিরোধী কোনো রকম কর্মসূচিতে সমর্থন ও মতপ্রকাশ করতে নিষেধ করা হয়েছে তাদের।