ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বাঁধ ছেড়ে দিলে সেই আকস্মিক পানিতে মানুষ মরলে, তা আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ থাকে না বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম।
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রণালয় ও সশস্ত্রবাহিনীর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম বলেন, ভারত বাঁধ ছাড়ার ফলে পানিতে তলিয়ে যদি মানুষ মারা যায়, তাহলে সেটিকে স্রেফ প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা উজান থেকে নেমে আসা পানি কিংবা আকস্মিক বন্যা বলে উড়িয়ে দেয়াটা ভুল হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, তারা যেন বিষয়টি আরও স্পষ্ট করে। প্রয়োজনে তদন্ত সাপেক্ষে যে বিষয়টি সত্য, সেটি যেন আমাদের জনগণের সামনে তুলে ধরা হয়।
তিনি আরও বলেন, এখন একটি রাজনৈতিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমাদের দেশে একটি জাতীয় সংকট চলমান আছে। এই জাতীয় সংকট নিরসনে সরকারের পাশাপাশি ছাত্র জনতা থেকে শুরু করে প্রশাসনের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা শিক্ষার্থীরা গত ছয়দিন ধরে ত্রাণ সংগ্রহ ও বিতরণের কাজ করছি। টিএসসিতে নগদ অর্থ সংগ্রহ করি। বিকাশ, রকেট ও নগদের মার্চেন্ট নাম্বার ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ সব জায়গায় জনগণ স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছে। বাংলাদেশের মানুষ এক ও অভিন্ন যে কোনও সংকট নিরসনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারে সেটি খুবই স্পষ্ট।
আরেক সমন্বয়ক লুৎফর রহমান বলেন, গত ছয়দিনে আমাদের নগদ অর্থ সংগ্রহ হয়েছে ৫ কোটি ৭৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯০ টাকা। বিকাশ, নগদ, রকেটের জমা হয়েছে প্রায় ৬০ লাখ টাকা, এটি আরও বেশি হবে। যে পরিমাণ ত্রাণ আসছে সেগুলো আমরা প্যাকেজিং হওয়ার পর সারাদেশের বন্যা দুর্গত এলাকায় পৌঁছে দিচ্ছি।
সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম জানান, বাংলাদেশে চলমান ভয়াবহ বন্যার মধ্যেই ফারাক্কা ব্যারেজের ১০৯টি গেট খুলে দিয়েছে ভারত। তবে এর ফলে এখন পর্যন্ত নতুন করে কোনও এলাকা প্লাবিত হয়নি।