নড়াইল-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) বি এম কবিরুল হক (মুক্তি) ও সাবেক কালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান খান শামীমুর রহমানসহ ৯৮ জনের নাম উল্লেখ করে বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে। সোমবার নড়াগাতি থানায় মামলাটি দায়ের করেন নড়াগাতী থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বিশ্বাস নওশের আলী।
বি এম কবিরুল হক মুক্তি নড়াইল-১ আসনের টানা চারবারের সংসদ সদস্য ছিলেন এবং জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। খান শামীমুর রহমান দুই বার কালিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি নড়াগাতি থানা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি।
মামলার অন্যতম আরও তিন আসামি হলেন- কেন্দ্রীয় যুবলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজী সরোয়ার হোসেন, নড়াগাতি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সালাউদ্দিন বশির, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক বাঐসোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফোরকান আলী।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সাবেক সংসদ সদস্য বি এম কবিরুল হক মুক্তিসহ আসামিরা গত ১৫ আগস্ট সন্ধ্যার দিকে বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র, শটগান, বন্দুক, হাতবোমাসহ জনতাবদ্ধ হয়ে কালিয়া উপজেলার বাগুডাঙ্গা এলাকায় বেআইনি সমাবেশ করে। বিএনপির নেতা-কর্মীসহ এলাকার জনমনে ভয় ও ত্রাস সৃষ্টি এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পতনের জন্য সরকারবিরোধী মিছিল করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। তারা বিএনপির নেতাকর্মীদের এবং এলাকার মানুষের মালামাল লুটপাটের চেষ্টা করে এবং তাদের খুন জখমের হুমকি দেয় বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও অভিযোগ করা হয়েছে, জনমনে ত্রাস সৃষ্টির জন্য হাতবোমার বিস্ফোরণ করে আসামিরা। শটগান ও বন্দুকের থেকে গুলি ছুড়ে জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। এতে ভয়ে ওই এলাকার বিএনপি নেতাকর্মীরা তাঁদের বাড়িঘর ছেড়ে আশেপাশের গ্রামে আশ্রয় নেন।
নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুস্তাফিজুর রহমান সময় সংবাদকে বলেন, বিস্ফোরক আইনে সাবেক এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৯৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।