শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি।।
সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প-২ এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মাহসড়ক চার লেন উন্নীতকরণ প্রকল্পের অধিনে অধিগ্রহণকৃত জায়গার জন্য টাকা দিয়েছে সরকার। কিন্তুর এরপরও জায়গা দখল করে নির্মান করা হচ্ছে স্থায়ী স্থাপনা। দখলদারদের দাবি যেহেতু সরকার জায়গা ফাঁকা রেখেছে, সেখানে তাদের অধিকার রয়েছে। বগুড়ার শেরপুরের বাসস্ট্যান্ডে মহাসড়কের ফলপট্টি এলাকায় এ চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কের পূর্ব অংশে ফলপট্টি এলাকায় কাজ করেছন কিছু শ্রমিক। তারা ইট দিয়ে কিছু ঘর নির্মাণ করছেন। তারা জানান বাসস্ট্যান্ড ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হিরু, তরিকুল ইসলাম সম্রাট, সোহানুর রহমান, হাফিজুর রহমান ও নূর জাহান বেগম তাদের এই কাজ করতে বলেছেন।
তবে তাদের স্থাপনা তৈরিকে অবৈধ বলে দাবি করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়িরা।
স্থানীয় তাজমিলুর রহমান তুহিন বলেন, “মহাসড়ক প্রশস্ত করার জন্য সরকার তাদের জায়গা ও স্থাপনা অধিগ্রহণ করেছে। এর জন্য তারা নিয়ম অনুযায়ি টাকাও নিয়েছে। এখন প্রভাব বিস্তার করে তারা অবৈধভাবে সরকারি জায়গা দখল করছে।“
আব্দুল গফুর মিলন বলেন, “এর আগেও তারা জায়গা দখল করার চেষ্টা করেছিল। আমরা স্থানীয় জনগণের পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলাম। এর প্রেক্ষিতে শেরপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেখানে ফায়ার হাইড্রেন্ড তৈরি করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু দেশের বর্তমান অবস্থার সুযোগ নিয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ওই জায়গায় স্থাপনা তৈরি করছে।“
সরকারের কাছ থেকে টাকা পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, “আমরা জায়গা ও স্থাপনার জন্য সরকারের কাছ থেকে টাকা পেয়েছি। যেহেতু সরকার কিছু জায়গা ফাঁকা রেখেছে, আমরা সেটা ব্যবহার করছি। সরকার চাইলে আমরা চলে যাব।
বাসস্ট্যান্ড ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হিরু বলেন, “আমি এখন পর্যন্ত সরকারের কাছ থেকে কোন টাকা পাইনি। তাছাড়া এখন আমি আমার জায়গায় ঘর তৈরি করছি।“
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন জিহাদী বলেন, “সরকারি জায়গা দখল করার কোন সুযোগ নেই। ওই জায়গাটি দখল মুক্ত করে সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীর সাথে কথা হয়েছে। অবিলম্বে তা কার্যকর করা হবে।“