মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের উপর সহিংসতা শুরু হয় ২০১৭ সাল থেকে। রোহিঙ্গাদের হত্যা এবং বসতবাড়ি ধ্বংস করে তাদের মিয়ানমার থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়েছিল তখন।
মিয়ানমারে চলমান সহিংসতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সদস্যদের বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের মানবিক সঙ্কটকে প্রকট করেছে। ২০১৭ সালে গণহত্যার শিকার হয়ে মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।
গণহত্যা থেকে বেচে যাওয়া রোহিঙ্গাদের শুরু থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করে আসছে। শুধু তাই নয় সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি বাংলাদেশে অবস্থানকারী রোহিঙ্গাদের জীবন রক্ষাকারী সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
গত সাত বছরে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্থদের মানবিক সহায়তার জন্য প্রায় ২.৪ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে। এছাড়াও রোহিঙ্গা এবং সকল বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতা ও নির্যাতনের ব্যাপক নথিপত্রও পরিচালনা করে থাকে দেশটি।
আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, একটি গণতান্ত্রিক এবং শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের জন্য তারা মিয়ানমারের জনগোষ্ঠীর পাশে রয়েছে। বেসমারিক নাগরিকরিকদের যেকোনো ধরণের ক্ষয়-ক্ষতি থেকে দূরে রাখার জন্য সকল পক্ষের প্রতি আহ্বানও জানানো হয়েছে ওই বিবৃতিতে।