গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর সমমনা দল ও জোটের সঙ্গে ফের বৈঠকে বসবে বিএনপি। রোববার (২৫ আগস্ট) থেকে এই বৈঠক শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। বিকাল ৫টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১২-দলীয় জোট এবং সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সঙ্গে বৈঠক হবে বলে মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানিয়েছেন। বাকি দল ও জোটগুলোর সঙ্গেও পর্যায়ক্রমে বৈঠক করবে দলটি।
সূত্রগুলো বলছে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবারের বৈঠকের আলোচনাও হবে ভিন্ন। বর্তমান পরিস্থিতিতে কীভাবে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করা যায়, সে বিষয়ে বৈঠকে পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হবে। এসব আলোচনায় রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচন অগ্রাধিকার পাবে। একই সঙ্গে বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মী যারা এখনো কারাবন্দী রয়েছেন, তাঁদের মুক্ত করা ও মামলা সুরাহার বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সে বিষয়টিও গুরুত্ব পাবে আলোচনায়।
এর আগে, সরকার পতনের আন্দোলন ঘিরে অনেকবারই সমমনা দল ও জোটগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। সবশেষ গত ১২ জুলাই এই কার্যক্রম শুরু হয়। যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি ও পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে ওই সময় বেশ কয়েকটি দল ও জোটের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি।
ওই কার্যক্রম চলমান থাকতেই কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দেশ।
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর থেকে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনা করছে। এই সরকারের কাছে ইতিমধ্যে নির্বাচন ও রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে রোডম্যাপ চেয়েছে বিএনপি।
এদিকে, শনিবার (২৪ আগস্ট) জধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে অতি দ্রুত নির্বাচন ও রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে রোডম্যাপ প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা দেখতে চাই যে, প্রধান উপদেষ্টা অতি দ্রুত জনগণের সামনে তিনি কী করতে চান তা উপস্থাপন করবেন।
একটা রোডম্যাপ দেবেন যে, কীভাবে তিনি অতি দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন, কীভাবে তিনি প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো ঘটিয়ে জনগণকে স্বস্তি দিয়ে সামনের দিকে এগোবেন নির্বাচন করার জন্য।
এসময় জাতীয় নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংলাপেরও দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।