রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পাকিস্তানের পাহাড়সম রান টপকে ইতিমধ্যে ৮৭ রানের লিড নিয়েছে বাংলাদেশ দল। তৃতীয় সেশনের খেলা চলছে, সফরকারীদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৫৩৫ রান। দলকে দারুণ লিড এনে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন মুশফিকুর রহিম।
মুশফিকের সেঞ্চুরির সৌজন্য দল ভালো অবস্থায়। কিন্তু সেঞ্চুরির পরও যেন আক্ষেপ থেকে গেল এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের। পাকিস্তানের বিপক্ষে হাঁটছিলেন চতুর্থ টেস্ট ডাবল সেঞ্চুরির দিকে। ইনিংসের ১৫৭ তম ওভারে মোহাম্মদ আলীর দারুণ এক বল বুঝে উঠতে পারেননি মুশফিক। স্কয়ার কাট করতে গিয়ে ব্যাট ছুঁয়ে বল চলে যায় উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে কয়েক সেকেন্ডের জন্য স্থির দাঁড়িয়ে রইলেন, বুঝতে বাকি রইল না—এভাবে হাতাশ হতে চাননি ৩৭ বছর বয়সী ব্যাটার।
১৯১ রানে থামলেন মুশফিক। ডাবল সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৯ রানের আক্ষেপ নিয়ে ফিরলেন ড্রেসিংরুমে। ৩৪১ বলের ইনিংসে মেরেছেন ২২টি চার ও একটি ছক্কা। টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে দ্বিতীয় সেরা ইনিংস এটি। ২০১৫ সালে সাকিব আল হাসান খেলেছিলেন ২০৬ রানের ইনিংস।
মুশফিক আউট হলে সপ্তম উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে ভাঙে ১৯৬ রানের জুটি। তাঁকে সঙ্গে দিয়ে মিরাজও তুলে নিয়েছেন সপ্তম টেস্ট ফিফটি। অপরাজিত আছেন ১৭০ বলে ৭১ রানে। আউট হয়েছেন হাসান মাহমুদও (০)। ব্যাটিংয়ে নেমেছেন শরীফুল ইসলাম।
মোহাম্মদের আঘাতে শুধু মুশফিককেই আক্ষেপে পোড়েননি, গতকাল সেঞ্চুরির বঞ্চিত করেছেন ওপেনার সাদমান ইসলামকেও। অসাধারণ এক বলে ৯৩ রানে বোল্ড করেছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটারকে।