স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা যেটা নিশ্চিত করার কথা, সেটা করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
শনিবার দুপুরে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার বন্যাদুর্গত রারগাঁও ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের কাশিপুর উচ্চবিদ্যালয়, কাশিপুর মাদ্রাসা, কাশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আল ফালাহ একাডেমি আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে একথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, এখানকার অবস্থা খুব একটা ভালো না। বন্যা শুরু হওয়ার পর মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, এখানে মেডিকেল টিম করে ওয়াটার পিউরিপায়িং ট্যাবলেট দাও, ওরস্যালাইন দাও; যেগুলো তোমাদের কাছে সেগুলো বিতরণ করো আর লাগলে আমাদের কাছ থেকে নাও। আমি এসে দেখলাম একটি কেন্দ্র ছাড়া বাকিরা টিউবওয়েলের পানি খাচ্ছে। ওয়াটার পিউরিপায়িং ট্যাবলেট তাদের হাতে আসেনি। যে সচেতনতাটা আমাদের কর্মীরা করতে পারতো, তা পাওয়া যায়নি। আমার কাছে এটা বড় ঘাটতি মনে হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যেটা আমার রেসপন্সিবল জায়গা। যেখানে আমি ১২/১৩ দিন হলো যোগদান করেছি। সেই স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা যেটা নিশ্চিত করার কথা, সেটা করতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, ফ্যামিলি প্ল্যানিং-এ প্রচুর টাকা খরচ হচ্ছে। সেখানকার ওয়ার্কারা কতটুকু সেবা দিচ্ছে তা আমার কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। তারা অভিযোগ করে বলেছে, ইনজেকশন দিতে গেলে একশো টাকা দিতে হয়। ওষুধ নিতে গেলে দশ টাকা বিশ টাকা দিতে হয়। টাকা না দিলে খারাপ ব্যবহার করা হয়। এটা উচিত না। আমরা যারা সরকারি চাকরি করি, আমরা সবাই জনগণের চাকর। আমরা কীভাবে তাদেরকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করি! তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করি!
আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার, সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা, আব্দুল মালেক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. জাকির হোসেন, ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবী প্রমুখ।