যুদ্ধ বন্ধের বার্তা নিয়ে প্রথমবারের মতো ইউক্রেন সফরে গেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এটিই ভারতীয় কোনো প্রধানমন্ত্রীর প্রথম ইউক্রেন সফর।
পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ থেকে রেল ফোর্স ওয়ান-এ চড়ে বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন তিনি। দীর্ঘ ১০ ঘণ্টার রেলযাত্রা শেষে আজ শুক্রবার (২৪ আগস্ট) সেখানে পৌঁছান তিনি।
এরপর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মোদি।
যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে পৌঁছতেই মোদিকে স্বাগত জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এদিকে, দুই দেশের মধ্যে এদিন, স্বাস্থ্যখাত, কৃষি সহ নানান ক্ষেত্রে ৪ টি চুক্তি হয়।
ইউক্রেন সফরের আগে মোদি বলেছিলেন, ভারত কোনো পক্ষ না নিয়ে শান্তির সেতু হতে চায়। যদিও অনেক সমালোচকরা বলছেন পশ্চিমাদের খুশি করতে ইউক্রেনে মোদির এই সফর।
এদিকে নরেন্দ্র মোদির এই সফর নিয়ে জেলেনস্কি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে বলেন, আজ ইতিহাস তৈরি হয়েছে। আমাদের স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে আমাদের দেশের স্বাধীনতার পর ইউক্রেনে তার প্রথম সফর করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ‘
১৯৯১ সালের পর এই প্রথম ভারতের কোনো প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেনে গেলেন। রাশিয়ার হামলা শুরুর পরে অবশ্য একাধিকবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে। গত ৮ জুলাই ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিয়ে রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন মোদি।
ধারণা করা হচ্ছে, কূটনৈতিক ক্ষেত্রে ভারসাম্যের বার্তা দিয়েই এবার রাশিয়ার শত্রু দেশে গেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সমালোচকরা অবশ্য বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দুনিয়াকে সন্তুষ্ট করতেই তার এ সফর।
জেলেনস্কির চিফ অব স্টাফ অ্যান্ড্রি ইয়রমাক সম্প্রতি বলেছেন, মোদি শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। মোদির কিয়েভ সফরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাশাপাশি শান্তি প্রক্রিয়া নিয়েও জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনা হতে পারে।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে জি-৭ সম্মেলনে যোগ দিতে ইতালি গিয়ে জেলেনস্কির সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক করেছিলেন মোদি। তার আগে জাপানেও দুজনের একান্তে আলোচনা হয়েছিলো। এর আগে গত জুলাই মাসে মস্কো সফরে গিয়ে পুতিনকে আলিঙ্গন করায় ইউক্রেনের তীব্র নিন্দার মুখে পড়েন মোদি।