একের পর এক চিংড়ি ঘের লুটের ঘটনায় এলাকার ঘের মালিকদের মাঝে চরম আতঙ্ক ও ভীতি বিরাজ করছে। বিভিন্ন এলাকার ঘের মালিকরা এখন আল-আমিন গংয়ের আতঙ্কে রয়েছেন। আল-আমিন গংয়ের লুটপাটে ভীতসন্ত্রস্ত সাধারণ মানুষও। আর একের পর এক এই ঘের লুটের ঘটনা ঘটছে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায়।রামপাল উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোতাহার হোসেন জানান, ভোজপাতিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন শেখ শ’খানেক লোক নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে তার ২৪০ বিঘার চিংড়ি ঘের থকে লাখ টাকা মাছ লুটে নিয়ে গেছে।
তার ঘেরটি ভোজপাতিয়া ইউনিয়নের ক্যাটার্জীখালী গ্রামে। এছাড়া ঘের থেকে নগদ ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা ও মালামাল লুটে নেয়। তিনি বলেন, কি বলবো বলেন- আমাদের দলের লোকই (আল-আমিন) লোকজন নিয়ে এই লুটপাট চালাচ্ছে। আর তার এ অপকর্মে ইন্দন দিচ্ছেন রামপাল থানা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ হাফিজুর রহমান তুহিন।
ভোজপাতিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তরফদার এনামুল হক প্রিন্স জানান, আল-আমিন গং বুধবার রাত ১১টার দিকে স্থানীয় শাহিনা বেগমের ১০০ বিঘার ঘেরে লুটপাট চালায়। এ সময় ঘেরটি থেকে ৮০ হাজার টাকা মূল্যের বাগদা চিংড়ি, ৮ হাজার টাকার বাইলা মাছ ও দুই হাজার টাকার চিংড়ি মাছ লুট করে নেয়।
ঘের মালিক শাহিনা বেগম বলেন, আমার ঘের লুট করে যাওয়ার সময় ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। দাবি করা চাঁদা না দিয়ে ঘের দখল করে নেয়ার হুমকি দিয়ে যান। এছাড়া এসব ঘটনা থানা পুলিশকে না জানাতেও শাসিয়ে যান আল-আমিন।
এছাড়া বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পেড়িখালী ইউনিয়নের ডাকরা বাজার সংলগ্ন মোহাম্মদ আলীর ৯০ বিঘার ঘেরের মাছ লুটে নেয় আল-আমিন গং। এ ঘেরটি থেকে ৮০ হাজার টাকার মাছ লুট করা হয়।
আর এর আগে বুধবার রাতে একই ইউনিয়নের দেড়শ বিঘার মীরের ঘের থেকে লাখ টাকার মাছ লুটে নেয় আল-আমিন গং।
এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ঘের লুটপাটে মেতে রয়েছে আল-আমিন গং। আল-আমিন গংয়ের ভয়ে ভুক্তভোগী কোনো ঘের মালিকই এখনও পর্যন্ত লুটপাটের ঘটনায় থানা অভিযোগ দেয়ার সাহস করেনি।
এ বিষয়ে অস্বীকার করে আল-আমিন বলেন, আমি কিংবা আমার লোকজন কোনভাবেই এসব লুটপাটের সঙ্গে জড়িত না।