Homeবাংলাদেশআগামী ১০ দিন রাজশাহী অঞ্চলে বন্যার শঙ্কা নেই

আগামী ১০ দিন রাজশাহী অঞ্চলে বন্যার শঙ্কা নেই

দেশের পূর্বাঞ্চলে বন্যার প্রভাবে রাজশাহীর নদ-নদীগুলোতে পানি কিছুটা বেড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে। এতে আগামী ১০ দিন এ অঞ্চলে বন্যার কোনো শঙ্কা নেই।আজ শনিবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরাঞ্চলীয় পানিবিজ্ঞান পরিমাপ বিভাগ সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

নগরীর বড়কুঠি পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানির উচ্চতা পরিমাপ করেন পাউবোর গেজ রিডার এনামুল হক। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১৮ দশমিক ৫০ মিটার। গত ১৭ আগস্ট পদ্মার পানির উচ্চতা ছিল ১৬ দশমিক ৫৪ মিটার। পরের দিন থেকে পানি কমে।

তবে শুক্রবার থেকে আবার কিছুটা পানি বেড়েছে। এ দিন প্রতি তিন ঘণ্টায় এক সেন্টিমিটার করে পানি বাড়ে। সকাল ৬টায় পদ্মার পানির উচ্চতা ছিল ১৬ দশমিক ২০ মিটার। সন্ধ্যা ৬টায় সেটি বেড়ে হয় ১৬ দশমিক ২৪ মিটার। আজ  বেলা ৩টায় পানির উচ্চতা একই পাওয়া গেছে। ফলে এখন রাজশাহী পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ২ দশমিক ২৬ মিটার নিচে রয়েছে।

আগামী ১০ দিন রাজশাহী অঞ্চলে বন্যার শঙ্কা নেই।

দেশের পূর্বাঞ্চলে বন্যার প্রভাবে রাজশাহীর নদ-নদীগুলোতে পানি কিছুটা বেড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে। এতে আগামী ১০ দিন এ অঞ্চলে বন্যার কোনো শঙ্কা নেই।

নগরীর বড়কুঠি পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানির উচ্চতা পরিমাপ করেন পাউবোর গেজ রিডার এনামুল হক। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১৮ দশমিক ৫০ মিটার। গত ১৭ আগস্ট পদ্মার পানির উচ্চতা ছিল ১৬ দশমিক ৫৪ মিটার। পরের দিন থেকে পানি কমে।

তবে শুক্রবার থেকে আবার কিছুটা পানি বেড়েছে। এ দিন প্রতি তিন ঘণ্টায় এক সেন্টিমিটার করে পানি বাড়ে। সকাল ৬টায় পদ্মার পানির উচ্চতা ছিল ১৬ দশমিক ২০ মিটার। সন্ধ্যা ৬টায় সেটি বেড়ে হয় ১৬ দশমিক ২৪ মিটার। আজ (শনিবার) বেলা ৩টায় পানির উচ্চতা একই পাওয়া গেছে। ফলে এখন রাজশাহী পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ২ দশমিক ২৬ মিটার নিচে রয়েছে।

এনামুল হক বলেন, এ ছাড়া গত বৃহস্পতিবার রাতে উজানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে পদ্মায় পানি বেড়েছে। শুক্রবার রাজশাহীতে বৃষ্টিপাত হলেও নদীর পানি বাড়েনি। ২০১৩ সালে একবার পদ্মার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছিল। এর পর আর তা হয়নি।

একই তথ্য জানান উত্তরাঞ্চলীয় পানিবিজ্ঞান পরিমাপ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল করিম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাজশাহী অঞ্চলের বড় নদ-নদীগুলোর মধ্যে বারণই নদে পানি বাড়ছে ভারী বর্ষণের কারণে। শুক্রবার সকাল ৯টায় রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা পয়েন্টে বারনইয়ের পানির উচ্চতা ছিল ১২ দশমিক ২৭ মিটার। শনিবার সকাল ৯টায় তা ১২ দশমিক ৫২ মিটারে গিয়ে দাঁড়ায়। নওহাটায় বারণই নদের বিপৎসীমা ১৩ দশমিক ৯৬ মিটার ধরা হয়ে থাকে।

প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা নদীর বিপৎসীমা ২০ দশমিক ৫৭ মিটার। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পয়েন্টে শুক্রবার সকালে পানির উচ্চতা ছিল ছিল ১৮ দশমিক ৪৭ মিটার। শনিবারও পানির পরিমাপ একই পাওয়া গেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর পয়েন্টে পুনর্ভবা নদীর বিপৎসীমা ধরা হয় ২১ দশমিক ৫৫ মিটার। এ নদীতে শুক্রবার সকালে পানির উচ্চতা ছিল ১৮ দশমিক ৫৫ মিটার। শনিবার সকালে দুই সেন্টিমিটার পানি কমে উচ্চতা পাওয়া যায় ১৮ দশমিক ৫৩ মিটার। পানি কিছুটা কমেছে আত্রাই নদীরও।

তিনি বলেন, নওগাঁর মহাদেবপুর পয়েন্টে আত্রাই নদীর পানির বিপৎসীমা ১৮ দশমিক ১৫ মিটার। শুক্রবার সকাল ৯টায় এখানে পানির উচ্চতা ছিল ১২ দশমিক ৮৫ মিটার। শনিবার সকাল ৯টায় পানি কমে ১২ দশমিক ৭৯ মিটারে নামে। এই নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক নিচেই রয়েছে।

প্রকৌশলী রেজাউল করিম আরও বলেন, ‘আগে পানির পূর্বাভাস পাঁচ দিনের জন্য দেওয়া হতো। এখন আমরা ১০ দিনের পূর্বাভাস দিই। আজ থেকে আগামী ১০ দিনেও রাজশাহী অঞ্চলে বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই।

Exit mobile version