সবাই আওয়ামী লীগ নেতাদের ফাঁসি চাইলে দেশ থাকবে না। তাদের ক্ষমার জন্য চিন্তার পরামর্শ দিয়েছেন সিনিয়র সাংবাদিক শফিক রেহমান।
বুধবার (২১ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যালায়েন্স ফর হিউম্যান রাইটস আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ পরামর্শ দেন।
আন্দোলনের বিরুদ্ধে জড়িত অপরাধীদের বিচারের বিষয় খুব ছোটভাবে করা উচিত বলে মনে করেন শফিক রেহমান। তিনি বলেন, আমরা জানি শেখ হাসিনা হত্যাকারী। তাই বিচারের জন্য আদালতে আবু সাইদের বাবা আসবেন আর দুই মিনিটে বিচার শেষ হয়ে যাবে, এমনটা করা উচিত।
‘বাংলাদেশের সবাই জানে কে দোষ করেছে। সময় নষ্ট করার দরকার নেই’. এমন মন্তব্য করে দেশ পুনর্গঠনে সময় ব্যয় করার পরামর্শ দিলেন এই সিনিয়র সাংবাদিক।
বিদেশে অবস্থানরতরা আন্দোলনে অনেক সুফল বয়ে এনেছে উল্লেখ করে শফিক রেহমান বলেন, দুদেশে থেকেই বিষয়গুলো দেখতে পারার সৌভাগ্য হয়েছে আমার।
তরুণদের উপদেশ দিয়ে তিনি বলেন, বিয়ে করলে অনেক বিবেচনা করতে হবে। গুণ আছে কি না তোমার মতো, গান শোনে কি না, বই পড়ে কি না দেখতে হবে। আমি চাই সবার মধ্যে ভালোবাসার উদ্রেক হোক।
‘তরুণদের মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হতে হবে কেন? এরা মন্ত্রী হবে। তরুণ বয়সে বাড়ি গাড়ি টাকা পয়সা করার লোভ কম থাকে,’ যোগ করেন শফিক রেহমান।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রসঙ্গে সিনিয়র এই সাংবাদিক বলেন, আমি হলে সাহাবুদ্দিনের কাছ থেকে শপথ নিতাম না। তার কাছ থেকে নেয়া মানে কী হলো! শহীদ মিনারে একটা শহীদ বাবা-মায়ের কাছ থেকে শপথ নিলে ভালো হতো।