ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উপজেলায় প্রবহমান হালদা ও ফেনী নদীর পাশাপাশি ধুরুং, লেলাং ও সর্তা খালের পানিও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে কয়েকটি এলাকার প্রধান সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। দেখা দিয়েছে তীব্র বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা।
এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার রাত থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ভাঙ্গন ঠেকানো ও পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে নানা পদক্ষেপ নিতে শুরু করার কথা জানিয়েছে প্রশাসন।
সরেজমিনে দেখা যায়, দাঁতমারা, নারায়ণহাট, ভুজপুর, পাইন্দং, হারুয়ালছড়ি, সুয়াবিল, লেলাং, সুন্দরপুর, বক্তপুর, ফটিকছড়ি পৌরসভা, নাজিরহাট পৌরসভা, রোসাংগিরি, ও সমিতিরহাট ইউনিয়নের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
নারায়ণহাট ইউনিয়নের প্রধান সড়কগুলোতে পানি জমে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য উপজেলা প্রশাসন জরুরি সেবা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বন্যার পানিতে কয়েকশ একর রোপা আমন ধান, বীজতলা, ও বর্ষাকালীন সবজির ক্ষেত প্লাবিত হয়েছে।
এছাড়াও, উপজেলার ২০-৩০টি মাছের ঘের ও বেশকিছু পুকুর ডুবে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বন্যার কারণে মুরগি ও গরুর খামারগুলোরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
অন্যদিকে উপজেলার কয়েকটি পৌরসভার মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় আওয়ামীপন্থী জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ করায় বন্যা পরিস্থিতিতে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের পাশে পাচ্ছেন না। এতে পানিবন্দি হাজারো মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
রোসাংগিরী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এস এম শোয়েব আল ছালেহীন বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মানুষের ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করেছে। পানি এভাবে বাড়তে থাকলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। ব্যক্তিগত ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গতদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে লোকজনের দুর্ভোগ বেড়েছে। আমরা ইতোমধ্যে ক্ষতির বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি। কবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।