সিলেটে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গুলির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানাসহ ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও দ্রুত বিচার আদালতে এই মামলা করা হয়। মামলার বাদী সিলেট জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জুবের আহমদ।
মামলায় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ছাড়াও সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরীকে আসামি করা হয়েছে।এ ছাড়া সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল ইসলাম, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, শফিউল আলম চৌধুরী (নাদেল), হাবিবুর রহমান (হাবিব), সিলেট জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীও আছেন আসামির তালিকায়। মামলায় পুলিশ সদস্যদের মধ্যে আছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন, সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ, অতিরিক্ত উপকমিশনার সাদেক দস্তগীর কাউসার, সহকারী পুলিশ কমিশনার মিজানুর রহমান প্রমুখ।
মামলায় মোট ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে।
মামলার আরজিতে বলা হয়, ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে সিলেট নগরের কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় শেখ হাসিনাসহ অন্যদের হুকুমে আসামিরা দেশি–বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রসহ ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করে। আসামিদের গুলিবর্ষণে বাদীও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া অভিযুক্তদের ছোড়া ককটেল, পেট্রলবোমা ও গুলিতে অনেকে আহত হয়েছেন। তাঁরা বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
দেরিতে মামলা করার কারণ হিসেবে বাদী উল্লেখ করেছেন, তথ্য সংগ্রহ করতে তাঁর দেরি হয়েছে। এ ছাড়া থানায় গেলে থানা থেকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আদালতে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের ছবি দেওয়া হয়েছে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে কোতোয়ালি থানাকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন।