ব্যবসায়ীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিংমলের ইনচার্জ মহসিন করিম। তার পদত্যাগে উল্লাস প্রকাশ করেছেন আন্দোলনরত ব্যবসায়ীরা। তবে দোকান ভাড়া কমানোসহ আরও ১২ দফা দাবিতে এখনও অনড় রয়েছেন তারা।বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলকারীরা।
এদিন সকাল থেকেই ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীরা রাজধানীর পান্থপথ ও কারওয়ান বাজারের আশপাশের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে আশপাশের সড়কগুলোতে তীব্র যানজট দেখা যায়। তবে ইনচার্জের পদত্যাগের খবরে সিগন্যালগুলো থেকে সরে যেতে শুরু করেন তারা। এতে যান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
বিক্ষোভকারীরা জানান, ভবনের বিভিন্ন ফ্লোরে তাদের দোকান থাকলেও মোবাইল দোকানগুলোকে বেজমেন্টে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু সরকারিভাবে শপিংমলের বেজমেন্টে কোনও প্রতিষ্ঠানের অনুমতি না থাকায় লাইসেন্সসংক্রান্ত কোনো কাজে সরকারি দফতরে গেলে ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে।
মার্কেট ইনচার্জ মহসিন করিমের কাছে বারবার সমস্যার কথা জানানো হলেও উল্টো হুমকি-ধামকি দিয়ে ব্যবসায়ীদের দমিয়ে রাখতেন তিনি। এমনকি দোকান বন্ধ করে দেয়ারও হুমকি দিতেন বলে অভিযোগ তুলেছেন আন্দোলনকারীরা।
খাদিমুল হাসান নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, সাধারণত ৬০ হাজার টাকার ওপরে দোকান ভাড়া হওয়ার কথা নয়। কিন্তু ভাড়া দিতে হচ্ছে ৮ লাখ টাকা। দীর্ঘদিন ধরে দাবির কথা জানিয়ে কোনও কাজ হয়নি। ফলে ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন।
আরেক ব্যবসায়ী তরিকুল হাসান বলেন, মহসিন করিম পদত্যাগ করলেও আমাদের মোট দাবি ১২টি। এগুলোর সুরাহ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
সরেজমিন দেখা যায়, বসুন্ধরা শপিংমলের সামনের রাস্তা ছাড়াও কাওরান বাজার মোড়ে অবস্থান নেন ব্যবসায়ীরা। সড়ক অবরোধ করায় শাহবাগ, ফার্মগেট, সায়েন্সল্যাব, মিরপুর রোডসহ আশপাশের বেশিরভাগ সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। যাত্রীদের পায়ে হেঁটে নিজ নিজ গন্তব্যে যাওয়া-আসা করতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে সার্ক ফোয়ারা মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিত পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, বসুন্ধরা সিটি শপিংমলের ব্যবসায়ী ও কর্মীরা বিক্ষোভ করার কারণে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় এ এলাকায় বেশকিছু পুলিশ সদস্যদের অবস্থান করতে দেখা গেছে।