চারদিকে সমালোচনার মুখে হঠাৎ করেই দুদক বিগত সরকারের দুর্নীতিবাজদের ধরতে তৎপর হয়েছে। একইদিনে প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপি থেকে শুরু করে পুলিশের প্রভাবশালী একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে সংস্থাটি।
তালিকায় রয়েছে সাবেক অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল কিংবা বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদসহ অন্যরা। যদিও এসব অভিযোগ দীর্ঘদিন দুদকের পড়ে থাকলেও টনক নড়েনি কমিশনের।
বছরখানেক আগে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের লন্ডনে আড়াইশো’ বাড়ি- টিআইবির প্রতিবেদনের মাধ্যমে সন্ধান মিললেও দুদকের টনক নড়েনি। অবশেষ তার দুর্নীতির ফিরিস্তির খোঁজে মাঠে নেমেছে সংস্থাটি।
এদিকে মাত্র দেড় বছরে রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে সাড়ে ৪ লাখের মতো লোক মালয়েশিয়ায় পাঠিয়ে অবৈধভাবে অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে কামাল-নিজাম হাজারী সিন্ডিকেট।
দুদক বলছে, মালয়েশিয়ায় জনপ্রতি সরকারি খরচ ছিল ৭৯ হাজার টাকা, অথচ এই মাফিয়া সিন্ডিকেট গ্রামের হতদরিদ্র নিরীহ মানুষ থেকে জনপ্রতি সাড়ে ৫ লাখ টাকা করে নেয়। আর এদের নেতৃত্বে ছিলেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, স্ত্রী কাশমেরী কামাল, মেয়ে নাফিসা কামাল, সাবেক সংসদ সদস্য লে জে অব. মাসউদ উদ্দিন চৌধুরী, নীজাম উদ্দিন হাজারি এবং বেনজীর আহমেদ।
একইসাথে আওয়ামী সরকারের বিরাগভাজন ব্যক্তিদের তুলে নিয়ে যখন তখন নির্যাতন ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে অঢেল সম্পদের মালিক ডিবির সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদ ও সাবেক ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।
তবে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন বলছেন, দুদকে এসব অভিযোগের আগে থেকেই যাচাই বাছাইয়ে ছিল। প্রাথমিক সত্যতা মেলায় অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।