থাইল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। রোববার ( ১৮ আগস্ট) শপথ নেন তিনি।
এর আগে ব্যাংককে একটি রাজকীয় অনুষ্ঠানে থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাকে সমর্থন দেন থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন। শুক্রবার ( ১৬ আগস্ট) পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে প্রধানমন্ত্রী পদে জয় পান ৩৭ বছরের পেতংতার্ন।
পার্লামেন্টে ৩১৯ ভোটে জয়ী হন পেতংতার্ন। তার বিপক্ষে ভোট পড়েছিল ১৪৫টি। ভোটদানে বিরত ছিলেন ২৭ জন।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাকে সমর্থন দেয়ায় ধন্যবাদ জানিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন নতুন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে রাজার প্রতিকৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান পেতংতার্ন। এ সময় তিনি সরকারি ইউনিফর্ম পরা ছিলেন।
পেতংতার্ন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে।
এর আগে, বুধবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করেন দেশটির সাংবিধানিক আদালত। তার বিরুদ্ধে নৈতিকতা লংঘনের অভিযোগ আনা হয়। দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত একজন আইনজীবীকে মন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছিলেন স্রেথা।
এর পরদিনই ফেউ থাই পার্টি প্রধানমন্ত্রী পদে নিজেদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে। থাইল্যান্ডের বর্তমান সরকার ১১ দলের জোটের সমন্বয়ে গঠিত। জোটটির সবচেয়ে বড় দল ফেউ থাই পার্টি।
থাইল্যান্ডে গণতন্ত্রের ঘন ঘন উত্থান-পতন ঘটেছে। সেখানে ২০২৩ সাল পর্যন্ত একজন জেনারেল শাসন করেছেন। তিনি ২০১৪ সালে একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছিলেন।