ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে ইসরাইলের দুই রিজার্ভ সেনা নিহত হয়েছে। শনিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে তারা নিহত হন বলে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে।
টাইমস অব ইসরাইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহত সেনারা হলেন মেজর ইয়োটাম ইজহাক পেলেদ (৩৪) ও সার্জেন্ট মেজর মোরদেচাই ইউসুফ বিন সোয়াম। দুজনই জেরুজালেম ব্রিগেডের ৮১১৯তম ব্যাটালিয়নে কর্মরত ছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইজহাক পেলেদ সেনাদের জন্য যুদ্ধের সরঞ্জামের একটি বহরের নেতৃত্ব দিয়ে গাজা শহরের দক্ষিণ জেইতুন এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন। আর মোরদেচাই ওই বহরের একটি গাড়ির চালক ছিলেন। মধ্য গাজার নেতজারিম করিডোরের পাশে পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে এ দুজন নিহত হন।
আইডিএফের প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে, হামাসের যে সদস্য বোমাটি পুঁতে রেখেছিলেন তিনি ইসরাইলি সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে সেখান থেকে নিরাপদে সরে যান।
টাইমস অব ইসরাইল বলছে, এ দুজন নিয়ে গাজায় হামলা চালানোর পর ইসরাইলি সেনাদের মৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৩৪ জনে। এ ছাড়া গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের বিভিন্ন অবৈধ বসতিতে হামলা চালিয়ে তিন শতাধিক ইসরাইলি সেনাকে হত্যা করেছিল হামাস যোদ্ধারা।
এদিকে যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই গাজায় নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরাইলি দখলদাররা। নিরাপদ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা স্থানেও নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করছে নেতানিয়াহু বাহিনী।
গত ৪৮ ঘণ্টায় জাবালিয়া, নুসেইরাত, রাফাসহ বিভিন্ন স্থানের শরণার্থী শিবিরে দখলদারদের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। যার মধ্যে ছিল নারী, শিশুসহ নানা বয়সি মানুষ। জবাবে ইসরাইলিদের বিভিন্ন ঘাঁটিতে গোপনে হামলা চালাচ্ছে হামাসের সামরিক শাখা কাসেম ব্রিগেডস।
গাজা উপত্যকায় ইসরাইলিদের বর্বরতার মধ্যে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে পোলিও ভাইরাস। ভাইরাসটি খুব দ্রুত বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে শিশুদের আক্রান্ত করছে। এটি বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইউনিসেফের মুখপাত্র। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ৫০ হাজারেরও বেশি শিশু জন্মগ্রহণ করেছেন। তবে পোলিও প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।