বুধবার (১৪ আগস্ট) ভোরে বরগুনা পৌর শহরের আমতলাপাড় এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পালিয়ে যাওয়ার পর শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনে কথা বলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং ষড়যন্ত্র চেষ্টার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মো. জাহাঙ্গীর কবির বরগুনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং জেলা চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ঢাকা থেকে পুলিশের একটি টিম এসে মো. জাহাঙ্গীর কবিরকে গ্রেফতার করেছে।এর আগে গত ১২ আগস্ট রাতে জাহাঙ্গীর কবিরকে ফোন দেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জাহাঙ্গীরকে দলীয় বেশকিছু নির্দেশনা দেয়ার পাশাপাশি ১৫ আগস্ট শোক দিবসকে যথাযথ মর্যাদায় সঙ্গে পালন করার নির্দেশনা দেন। এ সময় শেখ হাসিনাকে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আস্থা রাখতে অনুরোধ করেন জাহাঙ্গীর কবির। এমনকি তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সব কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকার কথা জানান। দেশ ছেড়ে শেখ হাসিনা চলে যাওয়ার পর জাহাঙ্গীর কবিরকে ফোন দেয়ায় হঠাৎ করে আলোচনায় আসেন জাহাঙ্গীর কবির।
উল্লেখ্য, গত ১০ আগস্ট বরগুনা জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এতে কয়েকশ’ নেতাকর্মী অংশ নেন। এ সময় তারা শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রত্যয় জানান। প্রায় একই দাবিতে বিক্ষোভ হয় গোপালগঞ্জেও। বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর কবিরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।