প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালানোর পর আত্মগোপনে বেশির ভাগ আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য এবং নেতারা। তবে আস্তে আস্তে লুকিয়ে থাকা নেতারা ধরা পড়া শুরু করেছেন। গতকাল রাতে গ্রেপ্তার হন সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
এবার শোনা যাচ্ছে, সিলেটের শ্রীমঙ্গলের গ্র্যান্ড সুলতানে লুকিয়ে আছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।
এ খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই এই হোটেলের সামনে জড়ো হয় অনেক ছাত্র-জনতা। যা সামাল দিতে পারেনি হোটেল কর্তৃপক্ষ। পরে সেনাবাহিনী এই হোটেলের সামনে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি ঠাণ্ডা করেন।
এদিকে, অসমর্থিত একটি সূত্রে জানা গেছে, এই হোটেলে অবস্থান করছেন একজন উচ্চপদস্ত আমলা। তিনি পরপর ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং হাসিনার সঙ্গে তার পারিবারিক সংযোগও আছে।
তবে এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার মেয়র মো. মহসিন মিয়া নিউজ টোয়েন্টিফোর অনলাইনকে বলেন, হোটেলে শামীম ওসমানের থাকার খবরটি সম্পূর্ণ গুজব। তার দাবি, হোটেলে লুটপাট চালাতে একটি সংঘবদ্ধ চক্র হোটেলের সামনে অবস্থান নেন।
এ বিষয়ে গ্র্যান্ড সুলতান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফ সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি পাঁচতারকা রিসোর্ট, যা কিনা সুনামের সাথে আমাদের বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে ও পর্যটন খাতকে আন্তর্জাতিক মানে রূপান্তরিত করেছে।
তারা আরও জানায়, বর্তমানে বাংলাদেশের ক্রান্তিলগ্নে কিছু মহল বিচার বিবেচনা না করেই উস্কানিমূলক কিছু পোস্ট ছড়িয়ে দিয়েছে। যা কিনা পর্যটন খাত তথা এই প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করার জন্য যথেষ্ট।