স্থবির হয়ে পড়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রম। গণঅভ্যুত্থানে পর থেকে দুদকে দেখা যাচ্ছে না চেয়ারম্যান-কমিশনারদেরকে। সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চ পদস্থদের পদত্যাগের পর দুদকেও তৈরি হয়েছে নানা গুঞ্জন। বর্তমান কমিশন দুর্নীতি দমনে ব্যর্থ দাবি করে টিআইবি বলছে, মানুষের আস্থা ফেরাতে নতুন করে পুনর্গঠন করতে হবে দুদককে।
গণঅভ্যুত্থানের পর ছাত্র-জনতার প্রত্যাশা রাষ্ট্র সংস্কার। আর সংস্কারের পথে অন্যতম অন্তরায় রাষ্ট্র ব্যবস্থার রন্ধে রন্ধে থাকা দুর্নীতি। তাই তো আন্দোলনকারীদের অন্যতম দাবি দুর্নীতির লাগাম টানতে দুদককে পুনর্গঠন করতে হবে।
স্বাধীন কমিশন হলেও গেল ১৫ বছর ধরে সরকার বা প্রভাবশালীর মদদপুষ্ট হয়ে কাজ করার অভিযোগ দুদকের বিরুদ্ধে। দুর্নীতিবাজ হয়েও দুদক থেকেই মিলেছে একাধিক ব্যক্তির দায়মুক্তির সনদ। এমনকি দুদকের কাজ নিয়ে বিভিন্ন সময় উষ্মা প্রকাশ করতে দেখা যায় উচ্চ আদালতে।
এদিকে অভ্যুত্থানের পর থেকে দুদকের কার্যক্রমে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। এক সপ্তাহ ধরে অফিস খুললেও দুই-একদিন নামমাত্র অফিস করতে দেখা গেছে চেয়ারম্যান-দুই কমিশনকে। ইতোমধ্যে তাদের পদত্যাগের গুঞ্জনও ছড়িয়েছে। এনিয়ে কথা বলতে চাইলে রাজি হননি কমিশনের সচিব।
দুর্নীতির বিরোধী সংস্থা টিআইবি বলছে, বিগত সরকারের পুরো সময়জুড়েই দুদক ক্ষমতাসীনদের আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করেছে। কাজেই তারা নৈতিকভাবে স্বপদে থাকার অধিকার হারিয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, চুনোপুঁটিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও দুদক বরাবরই প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।