দাম কিছুটা কমলেও স্বস্তি ফেরেনি রাজশাহীর আলুর বাজারে। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজিতে ২ থেকে ৫ টাকা কমলেও তা যৌক্তিক নয় বলছেন ক্রেতারা। এদিকে দাম কমায় হিমাগার থেকে আলু বের করছেন না মজুদকারীরা।
সরকার পতনের পর থেকে রাজ কোল্ড স্টোরেজের আলু বেচাকেনা বন্ধ রয়েছে। জেলার সবচেয়ে বড় হিমাগারে ৪ লাখ ২০ হাজার বস্তা আলু মজুদ থাকলেও মজুদকারীরা বিক্রি বন্ধ রেখেছেন।
ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘আলুর উৎপাদনসহ সংরক্ষণ খরচ বেশি হওয়ায় বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। আর কৃষকের কাছ থেকে কেনা শুরু করে বাজারে বিক্রির দামে ভারসাম্য নেই। লোকসান দিয়ে তো ব্যবসা করা যায় না।’
পবা উপজেলার বেঙ্গল কোল্ড স্টোরেজসহ কয়েকটি হিমাগার থেকে বাজারে অল্প পরিমাণে আলুর সরবরাহ থাকলেও জেলার ৩৮টি হিমাগারের বেশিরভাগই বন্ধ। ব্যবসায়ীরা জানান, সরকার পতনের আগে পাইকারি বাজারে ৫৫ টাকা ও খুচরা বাজারে আলু ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়। বর্তমানে ৫ টাকা কমে প্রতি কেজি আলুর পাইকারি দর ৫০ ও খুচরা বাজারে ৫৫ টাকা। এ কারণে বিক্রি বন্ধ রেখেছেন তারা।
রাজশাহীর কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন বলেন, ‘বাজারে চাহিদা অনুযায়ী ব্যবসায়ীরা আলু সরবরাহ করছেন না। বাজারে সবসময় একটা গ্যাপ থাকছেই, যে কারণে আলুর দামও কমছে না।’
রাজশাহীর জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপপরিচালক ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ‘বাজারে স্বচ্ছতা আসলে দামেও ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। আর বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমাদের কাজ চলছে।’কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় এ বছর ৯ লাখ টন আলু উৎপাদন হয়েছে। আর আলুর চাহিদা বার্ষিক ৮০ হাজার টন।