কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংহতি জানানোর ঘটনায় আরব আমিরাতে দণ্ডপ্রাপ্ত প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেয়অ পদক্ষেপ বিষয়ে জানতে চেয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ৫ সেপ্টেম্বরেরর মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ জুলাই বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘আমিরাতে বিক্ষোভ করায় ৫৭ বাংলাদেশির কারাদণ্ড’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নজরে এসেছে। এ বিষয়ে কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমটো) গ্রহণ করেছে।
প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করায় ৫৭ জন বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। তাদের মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন, ৫৩ জনকে ১০ বছর এবং বাকি একজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আমিরাতের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আমিরাতি নিউজ এজেন্সি (ডব্লিউএএম) সোমবার এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, কারাদণ্ডের মেয়াদ শেষে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
ডব্লিউএএমের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই ব্যক্তিরা তাদের নিজ দেশের সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছিলেন। একজন প্রত্যক্ষদর্শী নিশ্চিত করেছেন যে বাংলাদেশ সরকারের নেয়া সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতের বেশ কয়েকটি সড়কে বড় ধরনের বিক্ষোভের আয়োজন করেছিলেন।
সুয়োমটোতে উল্লেখ রয়েছে, শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে দুবাইতে বিক্ষোভ করায় মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ট্রায়াল করে ৫৭ জন বাংলাদেশি নাগরিককে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আদালত কর্তৃক কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। কমিশন মনে করে কোনো বাংলাদেশি নাগরিক প্রবাসে আইনগত জটিলতায় পড়লে আইনি সহায়তা পাওয়ার অধিকার রাখে।
এ লক্ষ্যে বর্ণিত ভুক্তভোগীদের আইনগত সহায়তা দানের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা সমীচীন। এ অবস্থায়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আদালত কর্তৃক কারাদণ্ড প্রাপ্ত ৫৭ জন বাংলাদেশি নাগরিককে মুক্ত করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দূতাবাস কর্তৃক কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা দ্রুত কমিশনকে অবহিত করার জন্য সিনিয়র সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে।