যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে হতে যাওয়া ২০২৮ অলিম্পিকে ক্রিকেট যুক্ত হওয়ার বিষয়টি বেশ ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অজি অধিনায়ক রিকি পন্টিং। সারা বিশ্ব থেকে বড় পরিসরে ক্রিকেট দর্শক পাবে বলে মনে করেন তিনি। যা ভবিষ্যতে ক্রিকেটের পরিধি বৃদ্ধি করবে বলে আশাবাদী পন্টিং। এছাড়া ভবিষ্যত ক্রিকেটের উন্নতির পাশাপাশি, তৃণমূল পর্যায় থেকে ক্রিকেটাররা উঠে আসবেন বলে বিশ্বাস ক্রিকেটের এই কিংবদন্তির।
জমকালো আয়োজনে পর্দা নেমেছে প্যারিস অলিম্পিকের। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক নিয়ে আলোচনা। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়াযজ্ঞে, ক্রিকেট ইভেন্ট না থাকায় অনেকের মাঝেই দেখা গেছে হতাশা। শেষবার অলিম্পিকে ক্রিকেট ইভেন্ট ছিল ১৯০০ সালে। মাঝে কেটে গেছে ১২৪ বছর। তবে ২০২৮ অলিম্পিকে দর্শকের সে অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে।
২০২৮ অলিম্পিকের আসর বসবে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে। সে আসরে ক্রিকেট ফিরিয়ে আনতে প্রস্তাব দিয়েছিল আয়োজক কমিটি। সে প্রস্তাবের পর ২০২৩ সালের অক্টোবরে মুম্বাইয়ে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি কয়েকটি খেলার সঙ্গে ক্রিকেট ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে শেষবার যখন অলিম্পিকে ক্রিকেট আয়োজন হয়েছিল সেবার ফ্রান্সকে ১৫৮ রানে হারিয়ে স্বর্ণ জিতেছিল গ্রেট ব্রিটেন।
এদিকে অলিম্পিকে ক্রিকেট ফিরে আসার বিষয়টিকে বেশ ইতিবাচকভাবে দেখছেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার রিকি পন্টিং।
অজি কিংবদন্তি বলেন, ‘ক্রিকেটের জন্য বিষয়টি বেশ ইতিবাচক। গেল ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে আমরা অলিম্পিকে ক্রিকেটকে ফিরিয়ে আনতে চেয়েছি। আমি অনেক কমিটির হয়ে মিটিংয়ে বসেছি এবং আলোচনা করেছি যে আমরা কীভাবে ক্রিকেটকে অলিম্পিকে ফেরাতে পারি? অবশেষে এটিকে যুক্ত করা হয়েছে।’
এই কিংবদন্তির মতে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে দর্শক অলিম্পিক গেমস দেখেন। যার ফলে ক্রিকেটের পরিধি বৃদ্ধি পাবে। এর সঙ্গে তৃণমূল পর্যায়ের ক্রিকেটাররা উঠে আসবে বলেও মনে করেন তিনি।
পন্টিং বলেন, ‘মাত্র চার বছরের অপেক্ষা। পরের অলিম্পিক হবে যুক্তরাষ্ট্রে। আশা করি চার বছর পরে মেজর লিগ ক্রিকেট (এমএলসি) আরও বড় হয়ে উঠবে। ততদিনে এমএলসিতে আরও কয়েকটি দল খেলবে। আমি মনে করি, এতে তৃণমূল পর্যায়ের ক্রিকেটাররা উঠে আসবেন। অলিম্পিকে আয়োজক কোনো বিষয় নয়, দর্শকরাই খেলার পরিধি বড় করে তুলবে।’
অলিম্পিকে ক্রিকেট আবারো শুরু করা হলে আরো বড় পরিসরে বিশ্বে ক্রিকেট ছড়িয়ে পরবে বলে মনে করেন রিকি। যা ভবিষ্যত ক্রিকেটের জন্য যা ইতিবাচক বলে মনে করেন তিনি।
সাবেক অজি অধিনায়ক বলেন, ‘অলিম্পিক গেমগুলি সারা বিশ্বে অনেক লোক দেখেছে। এটি ক্রিকেটের জন্য সারা বিশ্বের দর্শকের জন্য উন্মুক্ত হয়ে যাবে। যা ভবিষ্যতের ক্রিকেটের জন্য ইতিবাচক।’
১৯৯৮ সালের কমনওয়েলথ গেমসে ক্রিকেটের অভিষেক আসরে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের হয়ে খেলেছিলেন রিকি পন্টিং। ক্রিকেট জীবন শেষে ধারাভাষ্য এবং কোচিংয়ের সঙ্গে যুক্ত আছেন বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক। কোচিং করাচ্ছেন বিশ্বের নানা প্রান্তের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে।