বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি ও উত্তর পূর্ব ভারতের ওপর এর প্রভাব নিয়ে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী সাংমা কানরাডের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার (১২ আগস্ট) রাজধানী দিল্লিতে এ বৈঠক হয়। এ সময় মেঘালয়ের উপ মুখ্যমন্ত্রী প্রেস্টোন টাইনসংও উপস্থিত ছিলেন।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
বৈঠকে এই তিন নেতা উত্তর-পূর্ব এবং বিশেষ করে মেঘালয়ের মানুষের উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় অমিত শাহ মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করে বলেন যে, ‘কেন্দ্র বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত নিরাপদ রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা বলেন, আমরা সীমান্ত এলাকার সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছি। মেঘালয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছে, তারা কেন্দ্রের গৃহীত পদক্ষেপে খুশি।
সাংমা বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মেঘালয় সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় নাইট কারফিউ জারি করা সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পুনর্ব্যক্ত করেছি যে কাউকে সীমান্ত অতিক্রম করতে দেয়া উচিত নয়, সীমান্ত পাহারা দেয়ার জন্য আরও জনবল পাঠানো উচিত।
বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে মেঘালয় সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে ৪৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমানা বরাবর সীমান্ত হাটগুলোতে সাময়িকভাবে কার্যক্রম বন্ধ করেছে।
এছাড়া গত কয়েকদিন ধরে সীমান্ত এলাকায় নাইট কারফিউ জারি করা হয়েছে। ডাউকিতে সমন্বিত সীমান্ত চেকপোস্ট দিয়ে আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্যও স্থবির রয়েছে।
উল্লেখ্য, মেঘালয়ের অনেক নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী যেমন খাসি এবং গারোদের আত্মীয়স্বজন এবং তাদের সম্প্রদায়ের লোকজন সীমান্তের ওপারে অর্থাৎ বাংলাদেশ বসাবাস করে। বর্তমানে নিজেদের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যহত হওয়ায় তারা উদ্বিগ্ন।