বরফ গলার কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি এখন খুব সাধারণ ঘটনা। গ্রিনল্যান্ডের বরফের বেলায়ও এটি খুব ভালোভাবে খাটে। তবে গ্রিনল্যান্ড নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখন যে আশঙ্কাটি করছেন সেটা রীতিমতো ভীতিপ্রদ। তাঁদের ধারণা কোনো এক সময় গ্রিনল্যান্ডের বেশির ভাগ অংশ জুড়ে বিছিয়ে থাকা বরফের পুরো চাদরটাই গলে যেতে পারে।
সে ক্ষেত্রে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যেতে পারে ২০ থেকে ২৫ ফুট।নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, গত ১১ লাখ বছরের একটি উষ্ণ সময়ের মধ্যে গ্রিনল্যান্ডের বিশাল বরফের চাদরের শুধু প্রান্ত নয় কেন্দ্র পর্যন্ত গলে যায়। এতে বহু প্রাণী ও উদ্ভিদের বাসস্থান একটি শুষ্ক এবং অনুর্বর তুন্দ্রা অঞ্চল তলিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সে গত ৫ আগস্ট প্রকাশিত এক নতুন গবেষণাপত্রে এ সব তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ।
গলতে পারে গ্রিনল্যান্ডের সব বরফ, ২৫ ফুট পানিতে তলাবে সৈকত!
বরফ গলার কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি এখন খুব সাধারণ ঘটনা। গ্রিনল্যান্ডের বরফের বেলায়ও এটি খুব ভালোভাবে খাটে। তবে গ্রিনল্যান্ড নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখন যে আশঙ্কাটি করছেন সেটা রীতিমতো ভীতিপ্রদ। তাঁদের ধারণা কোনো এক সময় গ্রিনল্যান্ডের বেশির ভাগ অংশ জুড়ে বিছিয়ে থাকা বরফের পুরো চাদরটাই গলে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যেতে পারে ২০ থেকে ২৫ ফুট।
নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, গত ১১ লাখ বছরের একটি উষ্ণ সময়ের মধ্যে গ্রিনল্যান্ডের বিশাল বরফের চাদরের শুধু প্রান্ত নয় কেন্দ্র পর্যন্ত গলে যায়। এতে বহু প্রাণী ও উদ্ভিদের বাসস্থান একটি শুষ্ক এবং অনুর্বর তুন্দ্রা অঞ্চল তলিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সে গত ৫ আগস্ট প্রকাশিত এক নতুন গবেষণাপত্রে এ সব তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ।
শুরুর দিকের এই বরফ গলনের সময় এখনকার তুলনায় কম গ্রিনহাউস গ্যাস ছিল পরিবেশে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এখন বায়ুমণ্ডলে বেশি কার্বন-ডাই-অক্সাইড থাকায় আগের ধারণার চেয়ে বরফ গলার ঝুঁকি আরও বেশি।গ্রিনল্যান্ডে এভাবে বরফে আচ্ছাদিত অবস্থায় আছে প্রায় ২৭ লাখ বছর ধরে। আর এখন আমাদের হাতে কিছু প্রমাণ এসেছে, যাতে মনে হয় বরফের এ চাদরটি ভঙ্গুর।’ বলেন ভারমন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বিজ্ঞানী ও নতুন এই গবেষণায় যৌথভাবে নেতৃত্ব দেওয়া পল বিয়ারম্যান।
গবেষকেরা ২০১৪ সাল থেকে গ্রিনল্যান্ড বরফের চাদরের নিচের উপাদান নিয়ে গবেষণা করছেন। তাঁরা একটি বরফের তলদেশ থেকে পলি সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেন। এর নাম দেওয়া হয় জিআইএসপি২। প্রায় ৩০ বছর আগে বরফের চাঁইয়ের কেন্দ্র থেকে এটি সংগ্রহ করা হয়।
আর এক আউন্সের এই পলি নমুনাতে আছে গ্রিনল্যান্ডের অতীত কেমন ছিল তার সূত্র। যখন অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে রাখা হয় ছোট্ট এই কণাটিকে, তখন একটি পোকার চোখ, একটি আর্কটিক পপি বীজ, উইলো গাছের অংশ, ছত্রাক এবং শেওলার অস্তিত্ব প্রকাশ পায়। বিয়ারম্যান একে উল্লেখ করেছেন, ‘বরফের নিচের হিমায়িত বাস্তুতন্ত্র’ বলে।
গবেষকদের ধারণা, এই জীবাশ্ম বা ফসিলগুলো নিশ্চিত করে গ্রিনল্যান্ড তার ৯০ শতাংশ বরফের চাদর হারিয়ে গিয়েছিল অতীতে।
‘বরফের চাদের মাঝখানে এই ফসিল পাওয়া হলো অতীতে গ্রিনল্যান্ডের বরফ অদৃশ্য হওয়ার নিশ্চিত প্রমাণ,’ বলেন বিয়ারম্যান, ‘আর বরফের চাদরের মাঝখানের অংশ হারানোর অর্থ এর পুরোটাই হারানো।