আবারও কর্মচাঞ্চল্য বাড়তে শুরু করেছে রংপুরের থানাগুলোতে। ট্রাফিক পুলিশও কাজে যোগ দেয়ায় শৃঙ্খলা ফিরেছে নগরীতে। তবে বিশ্লেষকদের মতে, ভাবমূর্তি ফেরাতে জনসেবায় গুরুত্ব দিতে হবে বাহিনীর সদস্যদের। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সম্মিলিতভাবে আবারও পুলিশের ওপর সবার আস্থা ফেরাতে হবে।
সরেজমিনে রংপুর নগরীতে দেখা যায়, বিরতি কাটিয়ে আবারও মাঠে নেমেছেন পুলিশ সদস্যরা। তবে এখনও শিক্ষার্থীরা সহায়ক হিসেবে রয়েছেন তাদের পাশে। শুধু নগরীর শৃঙ্খলাই নয় এমনকি নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিতেও গেল কয়েক দিন ধরে নিরলসভাবে কাজ করছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, দেশের প্রয়োজনে সড়ক নিরাপদ রাখাটা তদের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। দেশের এই অস্থিতিশীল পরিবেশের কারণে সাধারণ মানুষ যানজটের মুখে পড়ছে। সেক্ষেত্রে আমরা তাদের সাহায্য করতে সড়কে নেমেছি।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. সায়ফুজ্জামান ফারুকী জানান, পুলিশের ওপর জনগণের আস্থা যেন ফিরে আসে এ কারণে তাদের সঙ্গে নিয়ে হারানো গৌরব ফেরাতে সম্মিলিতভাবে কাজ করছেন তারা।
রংপুর আইনজীবী ও সংগঠক পলাশ কান্তি নাগ জানান, ভাবমূর্তি ফেরাতে সত্যিকার অর্থেই পুলিশ বাহিনীকে সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। প্রশাসনকে নিয়ে আমরা যেন দলবাজি ও হীন স্বার্থ হাসিলের চেষ্টায় লিপ্ত না হই সেদিকটা খেয়াল রাখতে হবে।
গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. রোকনুজ্জামান বলেন, জনগণের সেবক হয়ে কাজ করতে হবে। এখানে কোনো অন্যায়-অবিচার করা যাবে না।
৬ আগস্ট থেকে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তাসহ কয়েক দফা দাবিতে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছিলো ‘বাংলাদেশ পুলিশ অধস্তন কর্মচারী সংগঠন’। তবে গেল কয়েক দিন ধরে থানাগুলোর কার্যক্রমে গতি না থাকলেও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আশ্বাসের পর কাজে ফিরেছেন পুলিশ সদস্যরা।