সুলতান নামটি প্রথম বুঝতে হবে। একজন সুলতান এর সকল গুনাগুন তার মধ্যে ছিল। তার সম্পর্ক ছিল রাজা বাদশাদের সঙ্গে। জীবন যাপন ছিল নিজের তৈরি আইন মোতাবেক।
তিনি ছিলেন নির্ভিক ও স্বাধীন , তার ছবি ছিল রাজকীয় এবং রাজ্য নির্ভর। । যে রাজ্য সমৃদ্ধশালী স্বাস্থ পরিপূর্ণ স্বপ্ন ময় অতীন্দ্রিয়। যেন গভীর রাতে দেখা কোনো প্রকৃত সুলতানের নিজ রাজ্য নিয়ে দেখা এক অপুরূপ পূর্ণ যৌবনা গ্রাম রাজ্যের চিত্রায়ন।
তার দানবীয় শরীরের মানুষ গুলো আল্লাহ পাক এর অসীম নেয়ামতের একটি উদাহরণ। মহান আল্লাহ সুবানুতালা যেমন ক্ষুদ্রতম সৃস্টি করেছেন তেমনি বৃহত্তম সৃষ্টি করেছেন। মানুষ মহাবিশ্বের অতি অতি ক্ষুদ্র সৃষ্টি আকৃতিতে কিন্তু আল্লাহ্পাকের ইচ্ছায় এই ক্ষুদ্র শরীরে তার প্রেম ঢেলে দিয়েছেন সাত আসমান পর্যন্ত। সুলতানের এই সৃষ্টি আল্লাহ পাক এরই অসিম রাহমাত এর প্রশংসা ,তার অসীম নেয়ামতের কথা সুলতান বুঝতে চেয়েছেন,বলতে চেয়েছেন মানুষের কাছে, বার বার ছবি একে সুলতানের আত্মা আমাদের জানান দিয়েছেন আল্লাহ সুভানুতালার রাহমাত কত খাঁটি ও আলোময়।
মাটির রং মাটির মানুষ মাটির আকাশ বাতাস সবই যেন মাটি ময় সুলতানের ছবিতে, আল্লাহ পাক মাটি দিয়া মানুষ তৈরি করেছেন। হজরত আদম (আ )আর মা হাওয়ার (আ) সৃষ্টির সত্যটাকে তিনি সারাজীবন খুঁজেছেন বলেছেন তার মাটি রঙের আচ্ছন্নতায়। পশু পাখিদের ভাষা বুঝা তাদের পালা এগুলো সবই ছিল আল্লাহ পাকের সৃষ্টি বুঝবার এক আনন্দ ময় মহা উদযাপন। বিরাট ক্যানভাস আর সুবিশাল দেহ নারী পুরুষের এগুলো যেন সোনালী ফসলের মতো , রাজ্য ময় ঐশর্যশালী বাগান সবই তো আল্লাহ পাকের মহত্বের গান।
গ্রাম বাংলার এমন রাহমাত ময় ছবি কেউ কোনো দিন আঁকেন নাই , সারা জীবন অধরা আর অজানা কে জানার তীব্র আকাঙ্খা থেকে আল্লাহ সুভানুতালার অনুগ্রহে ও ইশারায় তিনি এই দিব্য দৃষ্টি অর্জন করেন ,এবং দুনিয়া কাঁপানো চিত্রমালা সৃষ্টি করে। তার চিত্র মালা পরনির্ভরশীল নয় অর্থাৎ দুনিয়ার মানুষ কে কি বললো কি বিচার করলো যাই আসেনা এগুলো আল্লাহ রাসূলের এক গোপন বাণী , ছদ্দবেশে। মানুষকে সঠিক পথ সুখ সমৃদ্ধির পথ প্রদর্শনের এক গোপন নির্দেশনা ,যেখানে শুধু মহান আল্লাহ পাকের রাহমাত।
সুলতানের ছবি গুহাচিত্রের অনুরূপ।
আলতামিরা বা আদি রক আর্ট এর মত
গুহা গাত্রের রং তার ছবিতে বার বার। । আর আকাশের রং মেঘের রং পৃথিবীর প্রথম
দিনের প্রতিবেশকে যেন নির্দেশ করে ,প্রথম আবাদ ছবিতে তেমনি নির্দেশনা , কৃষি নির্ভর সমাজের গোড়া পত্তন ,অথবা মানুষের প্রথম খাদ্য উৎপাদন, আবার “ কেয়ামত “ চিত্র কর্মের মাধ্যমে তিনি আল্লাহ পাকের নির্দেশ এ মানব ও জীন জাতির পরিসমাপতিও দেখিয়েছে। পবিত্র আল কুরআনে বর্ণিত জীন জাতির অনুষঙ্গ এবং আত্মা জগতের অনুষঙ্গ সুলতানের ছবিতে বার বার এসেছে , কিন্তু প্রকাশ্যে বিষয় গুলো তিনি বর্ণনা করেন নাই , এর কারণ আল্লাহ রাসূলের বিশ্বাস বিহীন আধুনিক সমাজ ব্যবস্থার অগভীর ও বালখিল্য দৃষ্টি ভঙ্গি এখনো অতীন্দ্রিয় অজানা জগতের উপস্থিতি দেরিতে যেতে পারলেই আধুনিক হতে পেরেছে বলেই মনে করে। ।
সুলতান আধুনিক কিন্তু সত্য অনুসন্ধানী। আর সত্যের কোনো টাইম স্পেস নাই , আল্লাহ রাসূল ই একমাত্র সত্য। মহান আল্লাহ পাকের অনন্ত সৃষ্টি জগতে শিল্পী সুলতান প্রথম আবাদ আর কেয়ামত ছবি দুইটির সাহায্যে মানব সৃস্টি ও বিলুপ্তির সমগ্র ইতিহাস তুলে ধরেছেন। । আর এর মাঝেই তুলে ধরেছেন মানুষের সংগ্রাম উদযাপন উৎপাদনে গৃহস্থালি এইসব , তার তুলির টানে ছিল আদি বাংলার রূপ রস ও প্রজ্ঞ। আল্লাহ পাকের আশীর্বাদপুষ্ট এলেম পাওয়া এই
শিল্পী মানব ইতিহাস কে দেশি ও আন্তর্জাতিক এবং মহাজাগতিক দৃশ্য রচনায় আনতে পেরেছেন
, মহাজাগতিক পেশিময় এই দেহ গুলো যেন আল্লাহ পাকের আশ্চর্য কুদরাত , এই একটি কুদরাতী শরীরে যেন অনেক কালের অনেক মানুষের, আদি অন্ত আত্মার বহিঃপ্রকাশ , সেই কারণেই তারা এতো বলবান এবং পরিপুষ্ট ও রাহমাত ময়। আল্লাহ পাক এর মহিমা বর্ণনার এক অনন্য উদাহরণ সুলতানের চিত্র মালা , বিশ্ব চিত্র কলার ইতিহাসে এরকম উদাহরণ অতিবিরল। ছদ্দবেশী আল্লাহ ও রাসূলের মহিমা বর্ণনা কারী এই শিল্পীকে অনন্ত শুকরিয়া। আল্লাহ পাকের আশীর্বাদ এ তার নাম লেখা থাকবে পবিত্র মাটির অক্ষরে।