মোর্স কোড হল একটি কমিউনিকেশন পদ্ধতি যা পয়েন্ট (.) এবং ড্যাশ (-) দ্বারা প্রতিটি অক্ষর, সংখ্যা উপস্থাপন করে। মোর্স কোডের নামকরণ করা হয়েছে স্যামুয়েল মোর্সের নামানুসারে। রেডিও যোগাযোগের জন্য প্রথম দিকে মোর্স কোড ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হত।
প্রযুক্তিগত দিক থেকে মোর্স কোড হচ্ছ ইনফরমেশন পাঠানোর একটি পদ্ধতি, যেখানে অক্ষরগুলোকে আলো বা শব্দের লং বা শর্ট সিগনালের কম্বিনেশনে উপস্থাপন করা হয়েছে।
প্রতিটি অক্ষর কতগুলো ডট এবং ড্যাশের কম্বিনেশন। লিখিত কোড ছাড়াও এটি ডাটা কম্যুনিকেশনে পালস বা শব্দ দিয়ে উপস্থাপন করা যায়।
প্রথমদিকে মোর্স কোড শুধু নাম্বার ট্রান্সমিট করতো। সিস্টেমটি বেশ ধীর ছিল। পরবর্তী সময়ে অক্ষর ও বিরাম চিহ্ন মোর্স কোডে সংযোজন করা হয়।
১৮৪৪ সালে স্যামুয়েল এফ বি মোর্স কংগ্রেসের সামনে তার সিস্টেমটি প্রদর্শন করেন। প্রথম যে মেসেজটি ট্রান্সমিট করা হয় তা হলো-
“What God hath wrought” অর্থাৎ “স্রষ্টা যা সৃষ্টি করেছেন”
মেসেজটি প্রেরণ করা হয় ৪০ মাইল দূরে। মোর্স কোড ব্যবহার করে প্রথম তারবার্তা আবিষ্কারের কারণে মার্কিন কংগ্রেস, মার্কিন টেলিভিশন লাইনে তহবিলের জন্য তাকে ৩০,০০০ ডলার প্রদান করেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডেরাল কমিউনিকেশন কমিশন এখনও সামুদ্রিক যোগাযোগের জন্য মোর্স কোড ব্যবহার করে।